দৈনিকবার্তা-ঢাকা,আগস্ট ২৪: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার যমুনা নদীর পানি সারাদিনে ৪ সে.মিটার কমলেও বিপদসীমার ৬১ সে. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল স্রোতের কারণে পারতিতপরল হার্ড পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে ৪০ মিটার ধস নেমেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত সাত দিন যাবৎ পানিবন্দী ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২১টি প্রাথমিক ও ১টি উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কোন কোন বিদ্যালয় ঘরের মধ্যে এখন ১ থেকে ৪ ফুট পানি। ক্লাশ নেয়া সম্ভব না হওয়ায় গত শনিবার থেকে কেষ্টিয়ার চর, চর মাঝিড়া, পাকুড়িযা, চর চালুয়াবাড়ী, নয়াপাড়া, চকরতিনাথ, করমজাপাড়া, চরফাজিলপুর, ধারাবর্ষা, চর আগবোহাইল, দক্ষিণ চর মাঝিড়া, চর মাজবাড়ী, পৌতিবাড়ি, দক্ষিণ শংকরপুর, শংকরপুর, চর লক্ষিকোলা, শিমুলতাইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়া ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, চন্দনবাইশা নওখিলা পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠার কারনে ছুটি দেয়া হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে প্রায় ৫শ’ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
সব মিলিয়ে ২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪’হাজার ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যেতে না পারায় তাদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার পবিত্র কুমার জানান, উপজেলার ২১টি প্রাথমিক স্কুল পানিবন্দী হয়ে আছে। পানি কমে গেলে যথা নিয়মে ক্লাশ শুরু হবে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নূরুল ইসলাম সরকার জানান, যমুনা নদীতে সামান্য পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীতে স্রোতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে যে ধস নেমেছে তা রক্ষার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।