দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ আগস্ট: বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা চালু করতে ঋণ চান তোবা গ্রুপের এমডি দেলোয়ার হোসেন। রোববার দুপুরে কারওয়ান বাজারের সুন্দরবন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আগুনে পুড়ে যাওয়া তাজরিনের মালিক বলেন, আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, এখন করাখানা চালু করতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লাগবে। যদি ব্যাংক, বিমা বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া যায়, তাহলে আমি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
দেলোয়ার হোসেন জানান, তার চোখের সামনে তাজরীনসহ তোবার ৫টি কারখানা, ১টি প্রিন্টিং কারখানা ও ১টি অ্যাম্ব্রয়ডারি কারখানাসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তার কোন সম্পত্তি নেই। তিনি আরো বলেন, নতুন করে টাকা-পয়সার ব্যবস্থা না করতে পারলে এই মুহূর্তে কোন কারখানা চালু করতে পারবো না।
দেলোয়ার বলেন, কারগার থেকে বেরিয়ে ১৬ কাঠা জমির ওপর একটি প্রিন্টিং কারখানা, সাড়ে ৯ কাঠা জমি, কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করে ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পাই। এসব জমি যেসব লিজিং কোম্পানির কাছে বন্ধক ছিল, তারা ৩ কোটি টাকা নিয়ে নেয়। বাকি টাকা আমি শ্রমিকদের জুলাই মাসের বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধে দিয়ে দিয়েছি। এখনো আমার ৫০ লাখ টাকা দেনা আছে।
এই মুহূর্তে সবগুলো না হলেও দুই-একটি কারখানা চালু করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তোবার মালিক বলেন, আমার পরিস্থিতি এমন যে, সবাইকে যদি চালাতে না পারি, তাহলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে। আমার কারণে যেন এ খাতে আর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্য সুযোগ পেলে ভালোভাবেই কারখানা চালাতে চাই। তোবা শ্রমিকরা ‘দক্ষ’ মন্তব্য করে তাদের কাজ দিতে অন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রোজার ঈদের আগের দিন থেকে অনশন চালিয়ে আসা তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের ৭ আগস্ট কারখানা থেকে তাড়িয়ে দেয় পুলিশ। এর মধ্যে বিজিএমইএর মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়। শ্রমিক আন্দোলনকে কারণ হিসাবে দেখিয়ে ১৮ আগস্ট তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন দেলোয়ার হোসেন। এর আগে শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যেই বেতন দেয়ার অঙ্গিকার করে তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় কারাগারে থাকা দেলোয়ার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।