দৈনিকবার্তা-গত ২৩ আগষ্ট ২০১৪ খ্রিঃ গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (দৰিণ) বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আব্দুলস্নাহ আল মামুন এর তত্ত্বাবধানে ধানমন্ডি জোনাল টিমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ নূর আলম সিদ্দিকী এর নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কথিত ইউরেনিয়াম কেনা বেচার সাথে সংশিস্নষ্ট ১১ জন আসামীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের মধ্যে একজনের বনানীস্থ বাসা থেকে একটি চামড়ার বাঙ্ (USSR) নামাংকিত কথিত ইউরেনিয়াম বাঙ্ উদ্ধার করে৷ উদ্ধারকৃত ইউরেনিয়াম এর মূল্য ৫০ কোটি টাকার ও অধিক বলে গ্রেফতারকৃত আসামীরা দাবী করে৷
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলঃ ১৷ মোঃ ময়নাল হোসেন সাগর (৪৫), ২৷ মোঃ হুমায়ন কবির (৪৮), ৩৷ মোঃ কাইয়ুম চৌধুরী (৫৪), ৪৷ মোঃ কায়েশ আহম্মেদ (৫৪), ৫৷ মোঃ খালেক (৪৪), ৬৷ মোঃ স্বপন মোলস্না (৪৫), ৭৷ মোঃ ফিরোজ (৪৫), ৮৷ মোঃ মাহফুজুর রহমান নাসিম (৪২), ৯৷ মোঃ আসলাম মিয়া (৬১), ১০৷ মোঃ মইন উদ্দিন সরোয়ার রাজন (৩৫), ১১৷ মোঃ তোফায়েল আহম্মদ পাটোয়ারী (৪৮)৷
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক তদনত্মে জানা যায় আসামীরা পারস্পরিক যোগসাজসে বিভিন্ন কায়দায় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে ইউরেনিয়ামের আনত্মর্জাতিক চাহিদা সম্পর্কে তাদের অবহিত করে৷ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কোটি টাকা পাওয়া যাবে এর জন্য বিদেশী ক্রেতারা প্রস্তুত আছে, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষনাগারে (বিশেষ করে পশ্চিমা দেশে) এর ব্যাপক চাহিদা ইত্যাদি কথাবার্তা বলে ক্রেতা আকৃষ্ট করে৷ প্রাথমিক ভাবে তারা ইউরেনিয়াম ক্রেতাকে না দেখিয়ে নানা কায়দায় তৈরী একটি ভিডিও দেখায় এবং ক্রেতা পঞ্চাশ লৰ টাকা নগদ দেখাতে পারলে তাকে গোপনে কথিত ইউরেনিয়ামের সৃদৃশ্য বাঙ্টি দেখায়৷ বাঙ্রে সাথে থাকা ক্যাটালগে ইংরেজিতে URANIUM ATOMIC WEIGHT-222.07 (A) লেখা আছে৷
বাঙ্টি এমন ভাবে তৈরী যে এতে ক্রেতাদের সহজে বিশ্বাস স্থাপিত হয়৷ তাছাড়া বাঙ্রে সাথে থাকা বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, বিশেষ করে রেডিয়েশন মাপার যন্ত্র, গ্যাস মাস্ক, তাপমাত্রা মাপক যন্ত্র, রেডিয়েশন রোধক জ্যাকেট, হ্যান্ড গস্নাভস এবং ইংরেজী ও রাশিয়ান ভাষায় মুদ্রিত ক্যাটালগ দেখে অনেকেই আকৃষ্ট হয়৷ এভাবে আগ্রহী ক্রেতাগন কিছু টাকা বিনিয়োগ করার পর তারা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং অন্য ক্রেতা খুঁজতে থাকে ৷
গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা কথিত ইউরেনিয়ামের বাঙ্টি ঢাকার বাহির হতে একজন ব্যক্তির নিকট থেকে সংগ্রহ করে৷ ঐ ব্যক্তি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাঙ্টি বিদেশ থেকে আনা হয়েছে বলে জানায়৷ বৃটিশ আমলে নির্মিত সীমানত্ম পিলারে ইউরেনিয়াম পাওয়া যায় এমন প্রচারনায় অধিক লাভবানের আশায় অনেকে বিভিন্ন প্রতারক চক্রের মাধ্যমে প্রলুদ্ধ হয়ে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে৷ গ্রেফতাকৃত চক্রটি এ রকমই একটি সংঘবদ্ধ দল উদ্ধারকৃত দ্রব্যাদি বাঙ্রে মধ্যে থাকা বিশেষ কায়দায় নির্মিত আরেকটি বাঙ্রে মধ্যকার বস্তুসহ বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীৰা করা হবে৷ এ ব্যপারে বনানী থানায় মামলা রম্নজু করা হয়েছে ও তদনত্ম অব্যাহত আছে৷