দৈনিকবার্তা-২৩ আগস্ট: নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর : মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাবিস্নউ মজেনা বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি পোশাক শিল্প রপ্তানী করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি দেশে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ একদিন এশিয়ার বাঘে পরিণত হবে৷ বাংলাদেশ পরিণত হবে পৃথিবীর সেরা রপ্তানীকারক দেশে ও পৃথিবীর মধ্যে একটি সর্ববৃহত্ ব্র্যান্ডে৷ আর এটা সম্ভব হবে পোশাক রপ্তানী শিল্পের কারনে৷ শনিবার দুপুরে তিনি গাজীপুরের শ্রীপুরের রাজাবাড়ীর ধলাদিয়া এলাকার ডার্ড কম্পোজিট টেঙ্টাইল লিমিটেড কারখানা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এমন মনত্মব্য করেন৷ এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইউএস এইডের পরিচালক জেনিনা জারম্নজেলস্কি , ডার্ড কম্পোজিট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইতেমা উদ্দৌলাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল-উদ্দৌলাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷
আমেরিকায় পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে পরিদর্শনকালে মজেনা বলেন, ওবামা প্রশাসন দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে৷ তবে এ সুবিধা পুর্নবহালে মার্কিন প্রশাসন এদেশের সরকারকে কিছু কর্ম পরিকল্পনা দিয়েছে৷ জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে গত বছরের ৮ জুলাই জেনেভাতে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে৷ সেদিন জেএসপি সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ওই কর্মপরিকল্পনা বাসত্মবায়নে অঙ্গিকার করে৷ ওই দিক নির্দেশনাতে ছিল বাংলাদেশের পোশাক খাতকে কিভাবে রূপানত্মর করা যায় তার মূলচিত্র, এটাকে সবার জন্য মান সম্মত পর্যায়ে নেয়ার পদৰেপ৷ সেখানে কারখানায় নিরাপত্তার জন্য অগি্ননির্বাপন ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মালিক-শ্রমিক সম্পর্কেরও কথা বলা হয়েছিল৷ এসব কর্মপরিকল্পনার অনেক কিছু উন্নতি ও অগ্রগতি হয়েছে, পুরো কর্মপরিকল্পনা/রোডম্যাপ বাসত্মবায়িত হলে বাংলাদেশ সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ব্র্যান্ডে পরিণত হবে, পৃথিবীর মধ্যে একটি সর্ববৃহত্ ব্র্যান্ডে পরিণত হবে৷ তবে পোশাকখাতে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি ক্রানত্মিকাল অতিক্রম করছে, আর বাংলাদেশই পারে তা অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে৷ ওই রোডম্যাপের মাধ্যমেই পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ স্থান এক নম্বরে করে নিতে পারে, নতুবা সব বিফল হতে পারে৷ বর্তমানের এই ক্রানত্মিকাল অতিক্রম করতে না পারলে রানা পস্নাজা, তাজরীন ফ্যাশনের মতো আরো ঘটনা ঘটতে পারে৷ তবে আমার বিশ্বাস এমনটি আর হবে না৷ এজন্য আমার সরকার, আমার মিশন এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু করা সম্ভব, ততটুকু করব৷ আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি, আইএলও’র সঙ্গে কাজ করছি, অন্যান্য অংশীদারসহ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছি৷
বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাবিস্নও মজেনা আরো বলেছেন, গত বছরের জুনে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে৷ কারণ বাংলাদেশে ওই সুবিধা পেতে যে শর্তাবলী পালন করা দরকার তা বাংলাদেশ পূরণ করে আসছিল না৷ এর প্রেৰিতেই আমেরিকা ওই সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করে৷