image_95246_0_137548দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২১আগষ্ট: আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী তিন মন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান ও কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
রমনা থানায় দায়েরকৃত সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। দায়েরকৃত মামলা নং- ৩৫। সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা। তার মামলা নং- ৩৬। এছাড়া কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সোবহান। তার মামলা নং-৩৭। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের নিয়মিত বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।
এদের মধ্যে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভুত ১১ কোটি ৫ লাখ টাকার আয় বহির্ভুত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী ৫ বছর আগে সর্ব সাকুল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল মান্নানের নামে। আগে বার্ষিক আয় ছিলো ৩ লাখ। মন্ত্রী হওয়ার পর তার বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। মাত্র ৫ বছরে মান্নানের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১০৭ গুণ। এছাড়াও তিনি ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের নামে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। মহাজোট সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় এই সম্পদ তিনি অর্জন করেছেন। গত বছর এই প্রতিমন্ত্রীর জমির পরিমাণ বেড়েছে ১৪৩ গুণ। একইসঙ্গে ব্যাংকে জমানো টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৫৮৬ গুন। আর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৭৯ গুণ।
কক্সবাজার-৪ আসনে সরকার দলীয় এমপি বদিউর রহমান বদি দুদকে ২০ কোটি টাকার সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছিলেন। বাস্তবে অনুসন্ধান করে তার ৫০ কেটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুদক। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফ নামায় বদি তার সম্পদের হিসাবের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এমপি হওয়ার পর মাত্র ৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ।