Health Minister Nasimদৈনিকবার্তা-ঢাকা,১৯ আগষ্ট: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের খুনিদের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই৷ তিনি বলেন, ১৯৭১’র খুনি, ৭৫’র খুনি ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের খুনিদের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না৷গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে জনগণের, সাধারণ মানুষের৷ যারা মানুষ হত্যার রাজনীতি করে তাদের কোনো অধিকার থাকতে পারে না৷

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷উপস্থিতদের কাছে প্রশ্ন রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরাজিত শক্তি ও খুনিদের কিসের গণতন্ত্র? এদের গণতান্ত্রির কোনো অধিকার নেই৷ গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে শুধু জনগণের৷

নাসিম বলেন, গণতন্ত্রের নামে অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে, এজন্য আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি৷আর ছাড় দেয়া হবে না৷ খুনি ও পরাজিত শক্তিদের আর গণতান্ত্রিক অধিকার দেয়া হবে না৷নাসিম বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করছে৷ কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার হত্যাকাণ্ড ঘটায়৷

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে৷ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার চলছে৷ এছাড়াও সমপ্রতি নারায়ণগঞ্জের হত্যার বিচার,ফেনির ফুলগাজি চেয়ারম্যান হত্যাসহ যে সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার বিচার হচ্ছে৷আওয়ামী লীগের আমলে মানুষ বিচার পায়৷ আর বিএনপি জামায়াত বিচার বন্ধ করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

তিনি বলেন, উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে সব চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বিচার হয়েছে৷ আর কোনো দেশে এই রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিচার হয় নি৷১৫ আগস্ট যারা জন্মদিন পালন করে তারা কিসের বিচার করবে এমন প্রশ্নও করেন তিনি৷ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার নস্যাত্‍ করতে তারা নানামুখি চক্রান্ত করেছে৷ আলামত নষ্ট করেছে৷ নূন্যতম তদন্তটুকু পর্যন্ত করেনি৷ উপরোন্ত জজমিয়া নাটক সাজিয়েছে৷

সুতরাং যারা খুনি তাদের কিসের গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে৷ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার দেওয়াও ঠিক না৷অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবকে হত্যাকারী ফারুক রশিদদের নির্দেশদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান৷ ইতিহাসে তার মতো এমন খুনি রাষ্ট্রনায়ক দ্বিতীয়টি আর নেই৷

কামরুল বলেন, জিয়ার সুযোগ্যপুত্র তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, যা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিল৷

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে কামরুল বলেন, ফৌজদারি মামলা তামাদি হয়না৷ আসামিরা যদি মৃত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয় না৷ নয়তো খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হতো৷ জিয়াকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয়, তিনি প্রকৃত খুনি বলেই তাকে আসামি করা হতো৷

কামরুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও তালেবান রাষ্ট্র বানাতে খালেদার পুত্র তারেক জিয়া এখনও জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে৷বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জিয়া সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন,আজ জিয়া বেঁচে থাকলে অভিযোগপত্রে তার নাম আসতো৷ খুনি জিয়াউর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারেক জিয়া৷ খুনি পিতার সন্তান হিসেবে সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি৷