f11792

দৈনিকবার্তা-ঢাকা : গত ছয় মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা৷ সর্বশেষ জুন ২০১৪ অনুসারে ব্যাংক খাতে বর্তমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা৷ যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ৷ডিসেম্বর ২০১৩ সালে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ৷ শতাংশ হিসাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৮২ শতাংশ৷ টাকার পরিমাণে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের জুন মাসের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশের ৪৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ২৩ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে কমেছে ২৪টির৷ খেলাপি ঋণের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে কৃষিখাত৷গত এক বছরে এ খাতে অনাদায়ী ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ৫৭৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা৷ ২০১২-১৩ অর্থ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৫৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা৷ সদ্য সমাপ্ত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৬৩২ কোটি ৮২ লাখ টাকা৷

অপরদিকে রাষ্ট্রায়ত্ব বিশেষায়িত ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ জুন মাসে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা বিতরণ করা মোট ঋণের ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ৷ শুধু গত তিন মাসে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৩৩ কোটি টাকা৷ শতাংশ হিসাবে তিন মাসে প্রায় ৬৪ শতাংশ খেলাপি ঋণ বেড়েছে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হাল নাগাদ পরিসংখ্যাণ থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ ২০১৩ সালের জুন মাসে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের শতাংশ হিসাবে ছিল ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ৷ বছরের শেষ দিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে বিনিয়োগ ও ব্যবসা মুখ ধুবড়ে পড়েছিল৷ ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়৷ সে সময় বিপুল সংখ্যক খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো৷

এ কারণে ২০১৩ সালের জুন মাসের চেয়ে ডিসেম্বরে ২.৯৮ শতাংশ খেলাপি ঋণ কম হয়েছিল৷ কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে খেলাপি ঋণ ডিসেম্বরের চেয়ে ১.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়৷ গত ছয় মাসের হিসাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৮২ শতাংশ৷ পরিসংখ্যান মতে, দিনের পর দিন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে৷

২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা৷ বা ২৩ দশমিক ২৩ শতাংশ৷ এ চারটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা৷ দেশের ৩১টি বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১৫১ কোটি৷ আর বিদেশি নয়টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা৷বিশেষায়িত চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বর্তমানে ১১ হাজার ৫২ কোটি টাকা৷ যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৩৩ দশমিক ১২ শতাংশ৷ নতুন অনুমোদন পাওয়া নয়টি ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এ ব্যাংকগুলোর ঋণের মেয়াদ পূর্ণ হয়নি৷