image_903_131092দৈনিকবার্তা: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে চার পলাতক আসামিকে খুঁজছে টাস্কফোর্স। পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি। আর একজন পলাতক অবস্থায় বিদেশের মাটিতে মারা গেছে। জীবিত ছয় জনের মধ্যে দুজনের অবস্থান নিশ্চিত করা গেছে এবং তাদের ফেরত আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
লে. কর্নেল (অব.) এস এইচ এমবি নূর চৌধুরী কানাডায় ও লে. কর্নেল (অব.) এম এ রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় রয়েছেন। পলাতক অন্য খুনিরা হলেন লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। জীবিত এসব পলাতক আসামিকে বিশ্বব্যাপী খুঁজছে টাস্কফোর্স।
এ ছাড়া লে. কর্নেল (অব.) আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় মারা গেছে। এদিকে মেজর (অব.) বজলুল হুদা, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, এ কে এম মহিউদ্দিন ও মহিউদ্দিন আহমেদকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়। পলাতক আসামিদের ব্যাপারে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জীবিত ছয়জনের দুজনের অবস্থান নিশ্চিত করা গেছে। নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় রয়েছেন।
অন্য পলাতক আসামিদের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশীদ পাকিস্তান, বেলজিয়াম কিংবা লিবিয়াতে ঘুরেফিরে অবস্থান করছেন। লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম সম্ভবত পাকিস্তান, আবদুল মাজেদ ভারতে ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান আফ্রিকার উগান্ডা কিংবা কেনিয়ায় রয়েছেন। অন্য একটি সূত্র বলেছে, মোসলেহ উদ্দিন থাইল্যান্ডে আছেন। পালিয়ে থাকা এসব আসামিকে ধরে দেশে আনার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে ইন্টারপোলের সঙ্গে। পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় যুগপৎভাবে কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল ছয় খুনির জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’ নোটিশ জারি করে। এ ধরনের নোটিশ বিশ্বব্যাপী ইন্টারপোলের সর্বোচ্চ নোটিশ।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় দুই খুনি থাকায় দেশ দুটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের চিন্তাও রয়েছে সরকারের। দেশ দুটির সঙ্গে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তি সম্পাদিত হলে দুজনকে সহজেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আর ইন্টারপোল নোটিশে সাড়া পাওয়া গেলে অন্য চারজনের অবস্থান পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।