দৈনিকবার্তা-বরিশাল, ১৬ আগস্ট: প্রতি ট্রিপে গড়ে প্রায় ২ লাখ টাকা লোকসান দিচ্ছে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী রাষ্ট্রীয় নৌ পরিবহন সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি’র যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি বাঙ্গালী। সেই হিসেবে সার্ভিসে নামার পর থেকে এখন পর্যন্ত তার লোকসানের পরিমান দাড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। এমনিতেই এই জাহাজটির অস্বাভাবিক নির্মান ব্যায়সহ নানা বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই ছিল বির্তক। তার উপর বেপরোয়া লোকসানের কারনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এর ভবিষ্যৎ।
যাত্রীরা বলছেন, নির্মান কাঠামোর জটিলতার কারনেই সৃষ্টি হয়েছে সমস্যার। জাহাজটিতে উঠার আগ্রহ পাচ্ছেনা কেউ। ফলে প্রতি ট্রিপে গুনতে হচ্ছে লোকসান। এদিকে এসব সমস্যার সামাধানে তেমন আগ্রহ নেই বিআইডব্লিউটিসির মধ্যে। ফলে দিন দিন বাড়ছে লোকসানের পরিমান।
অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে যাত্রা শুরু করে বাঙ্গালী। গত ২৯ মার্চ এর উদ্ভোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্পুর্ন দেশীয় অর্থায়নে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েষ্টার্ন মেরিন শিপিং-এ নির্মিত হয় এই জাহাজ। উদ্বোধনের সময় জাহাজটি নিয়ে নানা আশার কথা শোনান নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। এটি দিয়ে বিআইডব্লিউটিসি তার নতুন যুগের সূচনা করলো বলেন তিনি। কিন্তু উদ্বোধনী ট্রিপেই ঘটে বিপত্তি। বরিশালে আসার পর ধরা পড়ে এর প্রপেলারসহ আরো বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে জটিলতা।
উদ্বোধনী যাত্রা এবং মেরামতের পর ঈদের প্রায় দিন ১৫ আগে পুনরায় ঢাকা বরিশাল রুটে যাত্রী পরিবহনে নামানো হয় বাঙ্গালীকে। ঈদের সময়ে মোটামুটি যাত্রীও ছিল। কিন্তু ক’দিন বাদে শুরু হয় ভাটির টান। সর্বশেষ গত শুক্রবার বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ১৫০০ জন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন বাঙ্গালীর ডেকে যাত্রী গেছে মাত্র ১৫০। ঈদ মৌসুমে কেবল একবার ৭৫ হাজার টাকা লাভ করেছিল জাহাজটি। এরপর থেকে কেবলই লোকসান।
বাঙ্গালী জাহাজের এসব সমস্যা নিয়ে কথা হয় বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহা ব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে।দৈনিকবার্তাকে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাঙ্গালী সপ্তাহে ৩ দিন বরিশাল এবং ৩ দিন ঢাকা থেকে চলাচল করছে। ভেতরের অবস্থাটা খোলামেলা না থাকার বিষয়ে যাত্রীরা যা বলছেন তা একেবারে ভুল নয়। আমাদের আরেকটি জাহাজ মধুমতি বর্তমানে নির্মানের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেটি সার্ভিসে এলে এটিকে বসিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করার কথা রয়েছে।