দৈনিকবার্তা- ঢাকা,১৬আগষ্ট : গত অর্থবছরে পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৮০ কোটি ৬০ লাখ (৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন) ডলার৷ ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭০১ কোটি ডলার৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তিন হাজার ৬৫৭ কোটি ১০ লাখ (৩৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ বেশি৷ অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৯৭৬ কোটি ৫০ লাখ (২৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি৷
২০১১-১২ অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৩২ কোটি ডলার, যা ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ঘাটতি৷ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে বরাবরই পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল৷ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৮৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার৷ ২০০৬-০৭ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩৪৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়৷বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার কারণে খাদ্য পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৩ কোটি ডলারে৷
তবে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে তা ৪৭১ কোটি ডলারে নেমে আসে৷ ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার৷নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় চলতি হিসাবের অন্তর্ভুক্ত৷ এই হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হল, নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না৷ আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়৷