দৈনিকবার্তা: থিবীটা থাকবে আমাদের ছেলে-মেয়েদের হাতের মুঠোয়। আমরা তাদেরকে সেভাবেই গড়ে তুলবো। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নেবে। সেভাবেই তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ছেলেমেয়েরা স্কুলে আর বই নিয়ে যাবে না। তারা একটা নোটবুক নিয়ে যাবে। সেখানে সব থাকবে। তারা প্রযুক্তির ব্যবহার করে এগিয়ে যাবে। আমরা তাদের সেভাবে তৈরি করে নেবো। আজ বুধবার সকালে গণভবনে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ শেষে উপস্থিত সবার সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা সচিব মো. সাদিকসহ সব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েদের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন। যারা পাস করতে পারেনি তাদেরকে এখন থেকে পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে পাসের হার শতভাগ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারি বা বেসরকারি যেভাবেই হোক প্রত্যেক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। রাজশাহীসহ পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। যারা পড়াশোনার মান ও পাসের হার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা এতো কথা বলেন, তাদের নিয়ে এসে পরীক্ষার হলে বসান। দেখি তারা পাস করেন কিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরশ্রীকাতরতা কিছু মানুষের থাকবে। অন্যের ভালো তাদের ভালো লাগে না। আমরা কাজ করছি বলেই সমালোচনা। কাজ না করলে সমালোচনা হতো না। শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশের লোকে কী বলে এ নিয়ে চিন্তা বাদ দিতে হবে। আমাদের সুনিশ্চিত লক্ষ্য আছে, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। দিনাজপুর বোর্ডের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।