দৈনিকবার্তা: বিশ্ববাজারে অস্থিরতা এবং আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ খান বিপু বলেছেন, কয়েক মাসের মধ্যে তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।
গত কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে চলছে অস্থিরতা। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দামও অস্থির হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কপোরেশন-বিপিসি বলছে, বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রির জন্য ডিজেল এবং কেরোসিনে লিটার প্রতি ভতুর্কি দিতে হচ্ছে সাত টাকার মতো। গত বছরে এ ভতুর্কি ছিল পাঁচ টাকার কম। অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত জুলাই থেকে তেলের শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে করে বিপিসিকে বছরে আরো এক হাজার কোটি টাকা বেশি লোকসান দিতে হবে। গেল বছরে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে সংস্থাটি। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারই প্রথম এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বাকের্র মাধ্যমে তেলের দাম বাড়ানো হবে। বার্কের সদস্যরা জানান, প্রস্তাব পেলে তারা তেলের দাম সমন্বয় করবেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে সরকার সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে তেলের দাম বাড়ছে। গত বছরে দেশে জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছে ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার টনের বেশি।