bangla-mail-13.08-300x194বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলামেইলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহাদত উলস্ন্যাহ খান ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদককে তলব করেছেন হাইকোর্ট৷

দৈনিকবার্তা: ২৩ জুলাই বাংলামেইলে প্রকাশিত ‘সুপ্রিম কোর্টে ঈদ অফার : টাকা দিলেই খালাস’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগে ওই দুজনকে ৭ সেপ্টেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে৷
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন৷
আদালতে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন৷ একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে৷
রিটের বিবাদীরা হলেন- তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসক, শাহবাগ থানার ওসি, পোর্টালের সংশিস্নষ্টরাসহ মোট ১১ জন৷
পরে এ বিষয়ে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ২৩ জুলাই ‘সুপ্রিম কোর্টে ঈদ অফার : টাকা দিলেই খালাস’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে বাংলামেইল৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়, ‘বিভিন্ন বিচারপতির নাম ভাঙ্গিয়ে তথাকথিত কিছু দালাল সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে লাখ লাখ টাকার জামিন বাণিজ্য চালাচ্ছে৷ ওই দালালচক্রের সঙ্গে কিছু অ্যাডভোকেট ও ব্যারিস্টারও জড়িত বলে অভিযোগ আছে৷ ঈদের আগে বড় বড় মামলায় জামিন করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসামিদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা৷ এ অবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে, আদালত পাড়ায় জামিনের ঈদ অফার চলছে’৷
অভিযোগ উঠেছে, ‘২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর মাদকের দুই মামলায় ৭৯ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমিন হুদাকে জামিন করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ৫০ লাখ টাকা নেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থি আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল৷ কিন্তু টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জামিন করাতে ব্যর্থ হন তিনি৷ এতে বেকায়দায় পড়েন ওই আইনজীবী৷ জানাগেছে, বিষয়টি নিয়ে আমিন হুদার প্রতিনিধি ও সুপ্রিম কোর্ট বারের নেতাদের মধ্যে দেন দরবার হয় কয়েকবার৷ কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি’৷
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আপিল বিভাগের এক বিচারপতির নাম ভাঙ্গিয়ে জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে আমিন হুদার কাছ থেকে ওই টাকা নেন৷ কিন্তু মোটা অংকের টাকা দিয়েও আমিন হুদার জামিনহয়নি৷ এর কয়েকদিন পর সাংবাদিকদের মোবাইলে একটি এসএমএস পাঠানো হয়৷ এসএমএসে লেখা হয়- ‘ঈড়ত্‍ত্‍ঁঢ়ঃবফ ইধত্‍ত্‍রংঃবত্‍ ত্‍ঁযঁষ শঁফফঁং শধলড়ষ যধং ঃধশবহ ৫০ ষধশ সড়হবু ভত্‍ড়স ফত্‍ঁম ফবধষবত্‍ অসরহ যঁফধ (ভড়ত্‍ নধরষ) ঃড় মরাব নত্‍রনব ঃড় ঃযব পড়ত্‍ত্‍বপঃবফ লঁংঃরপব ড়ভ যরময পড়ঁত্‍ঃ. ংড় নব ধষবত্‍ঃ ভত্‍ড়স হধংঃু ইধত্‍ত্‍রংঃবত্‍ শধলড়ষ.’ তবে এসএমএসটি কে বা কারা পাঠিয়েছেন তা জানা সম্ভব হয়নি৷ কারণ ওই নম্বরে ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে’৷
এ রিপোর্ট প্রকাশের পর ২৪ জুলাই রুহুল কুদ্দুস কাজল বাংলামেইল বরাবর লিগ্যাল নোটিশ দেন৷ কিন্তু নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন৷ দ্য রিপোর্ট