দৈনিকবার্তা: সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয় গতকাল দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডের সামাজিক শিক্ষাকেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালেয় শিশু শিক্ষার্থীরা গতকাল খোলা আকাশের নিচে সে পরীক্ষায় অংশ নেয়। সম্প্রতি তাদের বিদ্যালয়টি ভেঙে দেওয়া হয় l প্রথম আলোবাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সামাজিক শিক্ষাকেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দেননি চেম্বার বিচারপতি।
রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বিষয়টি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।
২০০২ সালের ২৪ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ সামাজিক শিক্ষাকেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার একটি চিঠি দেয়। চিঠিতে রমনার পার্শ্ববর্তী নিধুস্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে এই স্কুলটিকে একীভূত করতে বলা হয়।
২০০৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে সামাজিক শিক্ষাকেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্য ওয়ার্ডের সঙ্গে একীভূত করার আদেশ বাতিল করে।
এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালেই বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং মন্ত্রণালয়ের বাতিল আদেশে স্থগিতাদেশ দেন। বাতিল আদেশটি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রুল মঞ্জুর করে রায় দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
মুনসুরুল হক বলেন, চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেননি। ফলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র স্থানান্তরের আদেশ বহাল রইল।
শিক্ষার্থীরা আজ ফুটপাতে বসে পরীক্ষা দিল