দৈনিক বার্তা- ঢাকা,৬আগষ্ট : সরকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি৷বুধবার সকালে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকার বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে৷ উদ্দেশ্য একটাই- বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা এবং একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া৷ এর অংশ হিসাবেই তার এবং অন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা৷এটা নজিরবিহীন ঘটনা৷আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে তারা (সরকার) দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন৷ বিষয়টিকে নজীরবিহীন আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে নির্মূল করতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে৷ফখরুল বলেন,৫ জানুয়ারি একটি অবৈধ নির্বাচনের পর এ অবৈধ সরকার বিএনপিসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরি নির্মূল এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা ও চার্জশিট দিচ্ছে৷তাদের একটাই উদ্দেশ্যে, আবার এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা৷ যেটা তারা অতীতে করেছিল বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে৷
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও এ সরকার একাধিক মামলা দিয়েছে৷ দলের সিনিয়র নেতা ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রেখেছে, বলেন ফখরুল৷ তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দাবিয়ে রাখতে নানা কৌশল নিয়েছে৷দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে৷ দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে৷ কেবল তাই নয়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বিনা কারণে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে৷ উচ্চতর আদালতের জামিনের পরও তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না৷ফখরুল অভিযোগ করেন, ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দিতে এবং মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করতেই মন্ত্রিসভায় সমপ্রচার নীতিমালা পাস করা হয়েছে৷
সরকার বিরোধী মত দমনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন,যারাই ভিন্ন মত পোষণ করছে,তাদের বিরুদ্ধেই সরকার খরগ হস্ত হচ্ছে৷সমপ্রচার নীতিমালার নামে সংবদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে৷একের পর এক মিডিয়া বন্ধ করে দিচ্ছে৷ কিন্তু এসব করে অতীতে কেউ পার পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবে না৷ আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন,আন্দোলন কোনো মহূতের্র ঘটনা নয়,চলমান প্রক্রিয়া৷ আমাদের আন্দোলন চলমান আছে, থাকবে৷কবে নাগাদ নতুন কর্মসূচি আসছে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, খুব শিগগিরই দলের স্থায়ী কমিটি ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসে আন্দোলন কর্মসূচি চূড়ান্ত করে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হবে৷
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ সংগঠনটির নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন৷