দৈনিক বার্তা-নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৬ আগস্ট : শীত সহনশীল ধানের জাতসহ বিভিন্ন লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লৰ্যে কোরিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) কাজ এগিয়ে চলেছে৷ এ লৰ্যে দু’দেশের বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রচেষ্টায় বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী তীব্র শীত সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব সুবিধা এবং রাইস মিল, হসত্মচালিত বাহক যন্ত্র, বীজবপনযন্ত্র ও শস্য কাটার যন্ত্রসহ বেশক’টি যন্ত্র উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেয়া হয়েছে৷ ব্রি’র খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি (এফএমপিএইচটি) বিভাগে একটি আধুনিক গবেষণা ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে৷
বুধবার দুপুরে কোরিয়ান আনত্মর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কোইকা) এর উদ্যোগে ব্রি’র এফএমপিএইচটি বিভাগের প্রশিৰণ কৰে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে৷ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. শাহজহান কবীর, ব্রির এফএমপিএইচটি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. দুররম্নল হুদা, কোরিয়ার কিয়ুংপুক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুয়াং প্রমুখ৷
সংশিস্নষ্ট বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জানান, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে কেবল শীতজনিত কারণে ৯০শতাংশ ধানের চারা মারা যায়৷ এতে প্রায় দুই মিলিয়ন হেক্টর জমির ফসল ৰতিগ্রস্থ হয়৷ প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ইতোপূর্বে শীত সহিঞ্চু ব্রি দুইটি জাত (ব্রি ৩৬ ও ব্রি-৫৫) উদ্ভাবন করলেও জেনেটিক্যালিভাবে শীত সহিঞ্চু কোন জাত ব্রি’র নেই৷ জেনেটিক্যালি এ জাত উদ্ভাবন করতে আরো দু’বছর সময় লাগবে৷ তারা জানান, ধান চাষাবাদ তথা কৃষির যান্ত্রিকায়ন এখন সময়ের দাবী৷ এ লৰ্যে গত ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কোরিয়া এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যৌথ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন৷ কোরিয়া শীত প্রধান দেশ৷ তাদের বেশিরভাগ ধানই শীত সহিঞ্চু জাতের৷ এৰেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশে শীত সহিঞ্চু ধানের জিন তথা জাত উদ্ভাবন করতে কোরিয়ার সাথে এ প্রকল্প শুরম্ন হয়েছে৷ ব্রি’র বিজ্ঞানীসহ সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা কোরিয়া থেকে এ বিষয়ে প্রশিৰণ নিয়ে এসেছেন৷ নতুন গবেষণা ওয়ার্কশপের মাধ্যমে খামার যন্ত্রপাতির গবেষণা, উন্নয়ন ও রৰণাবেৰণ বিষয়ে ব্রি’র গবেষক ও কলাকুশলীদের নিয়মিতভাবে প্রশিৰণ প্রদান করা হচ্ছে৷ এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজারের বেশি জার্মপস্নাজম স্ক্রিনিং করা হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ দ্রম্নত এগুচ্ছে৷ ব্রি’র খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি (এফএমপিএইচটি) বিভাগে একটি আধুনিক গবেষণা ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে৷