দৈনিক বার্তা-বগুড়া প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাজার, বসতবাড়ী ও আবাদী জমি৷ যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে৷ যে কোন মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ ফলে নদী পাড়ের হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে৷ স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের দ্বায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে নদী ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছে না৷ নদীতে যে পরিমান বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো দরকার তা না ফেলে লোক দেখানো কাজ করা হচ্ছে৷ তাছাড়াও রৌহাদহ বাজারের পিছনে যে বালির বাঁধ দেওয়া হচ্ছে তা কোন কাজেই আসবে না৷ যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে যেকোন সময় ঐ বালির বাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে৷ এজন্য তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে৷ সরজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ৩০/৪০ মিটার এলাকা যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে৷ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আরও নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে৷ গত কয়েকদিনে চিলাপাড়া, কর্ণিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ও রৌহাদহ বাজার সহ ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে৷ চন্দনবাইশা ইউনিয়নের ১৫শ, কামালপুর ইউপির রৌহাদহ গ্রামে ২৫০টি পরিবারের বসতভিটা, আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়৷ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সহায়সম্বল ভিটামাটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে৷ তারা নতুন করে কোথায় বসতবাড়ী ওঠাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে৷ কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক অধ্যক্ষ মোখলেছার রহমান জানান, যমুনা নদী ভাঙ্গনে তার ইউনিয়নের ২শ ৫০ টি পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছে৷ তারা জায়গার অভাবে নতুন করে বসতবাড়ী তৈরি করতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে৷ তিনি নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা মূলক কাজ করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান৷ এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায় নি৷