দৈনিক বার্তা-ঢাকা,৪আগষ্ট : চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে৷দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ওই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৮৮১ জন৷উদ্ধার ও ত্রাণ তত্পরতা তদারক করতে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি খা ছিয়াং নিজে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন৷
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি্বক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, রোববার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় ইউনান প্রদেশের উয়েনপিং শহর েেেক ১১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৬ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূকম্পন অনুভূত হয়৷অবশ্য সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৫৷
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, গত ১৪ বছরের মধ্যে ইউনান প্রদেশে এতো শক্তিশালী ভূমিকম্প আর ঘটেনি৷
ভূমিকম্পে লুদিয়ান এলাকার প্রায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়৷ এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো প্রায় ৩০ হাজার বাড়ি৷
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝাওটং অঞ্চলের শিয়াওজিয়া এলাকা৷এ এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ওই অঞ্চলের বাসিন্দা মা লিয়া সিনহুয়াকে বলেন, ভূমিকম্পের ফলে তাদের এলাকার রাস্তাঘাট এতোটাই চৌচির হয়ে গেছে যে দেখে মনে হচ্ছে আকাশ থেকে বোমা ফেলা হয়েছে৷তার বাড়ির পাশেই একটি নতুন দোতলা ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে৷
প্রথমিক খবরে নিহতের সংখ্যা ২৬ জন বলা হলেও এরপর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে৷ সিনহুয়া দ্বিতীয় দফায় ১৫০ এবং পরে ১৭৫ জনের মৃত্যুর খবর দেয়৷ পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯৮ জনে৷
সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার বিদু্যত্ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে৷ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷সরকারি কর্মকর্তারা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দুর্গত এলাকায় তাঁবু ও অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে বলে চীনা গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে৷এর আগে ১৯৭০ সালে একই এলাকায় ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল৷