দৈনিক বার্তা-ঢাকা,৪আগষ্ট : অবশেষে ভাঙলো মিলনমেলা৷স্কটল্যান্ডেরগস্নাসগো নগরীরর বাসিন্দারা সফলতার সঙ্গেই শেষ করল প্রথমবারের মত আয়োজন করা ২০তম কমনওয়েলথ গেমস৷রোববার ছুটির দিনে আনুমানিক ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে জমকালো অনুষ্ঠানমালা, আতশবাজীর ঝলকানী ও বিশ্ব বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের সুরের মুচর্ছনা দিয়ে গস্নাসগোর হ্যাম্পডান পার্ক স্টেডিয়ামে ইতি ঘটে গ্লাসগো-২০১৪ শিরোনামের ২০তম কমনওয়েলথ গেমসের৷ আরল অব ওয়েলস প্রিন্স এডওয়ার্ড আনুষ্ঠানিক বক্তৃতার মাধ্যমে গেমসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷ এসময় তিনি বলেন, প্রতি চার বছর পর এই গেমস কমনওয়েলথসের চেতনাকে জাগিয়ে রাখে৷
এর আগে পরবতর্ী ভেনু্য অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গোলকোস্টের মেয়র টম টেটের হাতে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের পতাকা তুলে দেন ২০তম আসরের আয়োজক নগরী গ্লাসগোর মেয়র লর্ড প্রভোস৷ অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ গেমস বিষয়ক মন্ত্রী জেন ষ্টাকি এসময় উপস্থিত ছিলেন৷ এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় গোলকোস্টের মেয়র বলেন, এই দায়িত্ব আমি সাদরে গ্রহণ করছি৷ গোলকোস্টের নাগরিকদের পক্ষ থেকে এই পতাকা গ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি৷পতাকা হসত্মানত্মর অনুষ্ঠানের আগে গেমসের সফলতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন গস্নাসগো ২০১৪ আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড স্মিথ ক্যালভিন ও কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ড প্রিন্স ইমরান৷ এসময় ‘ডেভিড ডিঙ্ন এওয়ার্ড’ খেতাবে ভুষিত করা হয় ওয়েলসের ক্রীড়াবিবদ রিদমিক জিনম্যাস্টিকস তারকা জোন্স ফ্রান্সেসকাকে৷
স্থানীয় সময় রাত ঠিক ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা) সমাপনি অনুষ্ঠান শুরম্ন হবার কথা থাকলেও সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ৰমতা সম্পন্ন গস্নাসগোর হ্যাম্পডান পার্ক স্টেডিয়ামটি৷ মাঠে জড়ো করা হয় গেমসে অংশগ্রহণকারী এ্যাথলেট ও কর্মকতাদের৷
মুল আনুষ্ঠানিকতা শুরম্নর ১৫ মিনিট আগে থেকেই স্টেডিয়ামে স্থাপিত জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ক্রীড়াবিদদের উলেস্নখযোগ্য পারফর্মেন্সের খন্ডচিত্র নিয়ে প্রস্তুতকৃত প্রামাণ্যচিত্র৷ এসময় চমত্কার উপস্থাপনা দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন জিমি ও কন্ঠ শিল্পী লুলু৷ আনুষ্ঠানিকতা শুরুর ঠিক ৫ মিনিট আগে আসন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি প্রিন্স এডওয়ার্ড৷ ১০ সেকেন্ড আগে শুরু হয় ৰন গননা৷ ঠিক ৯টায় আতশবাজীর ঝলকানী দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা৷ এসময় লুলু গেয়ে ওঠেন,’ ডন্ট ফরগেট দি স্কট৷
এসময় মঞ্চকে ঘিরে নাচে অংশগ্রহণ করেন অনত্মত ২হাজার স্বেচছাসেবক ও সাধারণ নাগরিক৷ এরপর মঞ্চে আসেন ডিকেন বস্নু৷ তিনি গেয়ে ওঠেন ‘দেয়ার আর এ ম্যান আই মিট৷
এরপর আকস্মিকভাবে মাঠে ঢুকে পড়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীসহ একদল কমর্ী৷ আপাত দৃষ্টিতে কোন অঘটন ঘটল কিনা সেটি বুঝে ওঠার জন্য উপস্থিত দর্শকরা আতংকিত দৃষ্টি নিয়ে সেদিকে ভাল করে তাকাতেই দেখতে পেল একটি ব্যানার৷ যেখানে লেখা ছিল লেট গ্লাসগো ফ্লেরিশ৷ এটি অনুষ্ঠানেরই একটি অংশ বুঝতে পেরে ফলে স্বসত্মি ফিরে পেল দর্শকরা৷
ফায়ার সার্ভিসের দলটি মাঠ ছাড়ার পরপরই ‘আই ওয়ানা সি.. ও মাই গড আই ওয়ান্ট টু লাভ’ গান গাইতে গাইতে মঞ্চে আসেন প্রাইডস৷ এরপর বাদক দল ৰণিকের জন্য সবাইকে মুগ্ধ করে তাদের ঐতিহ্যবাহী স্কটিস পাইপারের বাঁশিতে৷এরপর পরবতর্ী আয়োজক নগরী গোলকোস্টকে নিয়ে প্রদর্শিত হয় ১০ মিনিটের একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান৷
সবশেষে মঞ্চ মাতাতে আসেন বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পি কেইলি মিনুগ৷ ‘গিভ মি এ নিউ ফ্রিডম, আই এম স্পিনিং, লাভ এট ফাস্ট সাইড, অল দ্য লাভার্স, বিউটিফুল ও বিখ্যাত ও জনপ্রিয় সেই লা লা লা … বয়েজ থিংক’ সহ সাতটি গান পরিবেশন করে পুরুটা সময় দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন কেইলি৷