দৈনিক বার্তা- ঢাকা,৩ আগষ্ট: বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য ও প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক, সংগ্রামের রংপুর জেলা প্রতিনিধি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইকরামুল হক দুলু ও এডভোকেট আজিজুর রহমান সরকার রাঙ্গার বিরুদ্ধে রম্নল জারি করেছে আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল৷ কেন তাদের বিরম্নদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হবে না-রম্নলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে৷ আগামী ২০ আগস্ট তাদেরকে ট্রাইবু্যনালে হাজির হতে হবে৷
রোববার জামায়াত নেতা এটিএম আজহারম্নল ইসলামের মামলায় সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ চলাকালে ট্রাইবু্যনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়৷
একাত্তর সালে আজহার নামে কোনো রাজাকার কমান্ডারের নাম শুনিনি এবং ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যনত্ম রংপুর কারমাইকেল কলেজে আজহার নামে কোন ছাত্র নেতা ছিলেন না শিরোনামে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইকরামুল হক দুলু এবং এডভোকেট আজিজুর রহমান সরকার রাঙ্গার উদ্বৃতি দিয়ে সংগ্রাম পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ ওই প্রতিবেদন আজহারের পক্ষে ডকুমেন্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে গেলে রোববার রুল জারিসহ সংশিস্নষ্টদের তলবের আদেশ দেয় ট্রাইবু্যনাল৷
আদেশে বলা হয়, বিচার চলাকালীন সময়ে মামলা সম্পর্কে কোন ধরনের মনত্মব্য করা যায় না৷ এ মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য শুরম্ন হয়েছে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কিন্তু ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তার পরের দিন ২৭ ডিসেম্বর৷ তাই এ প্রতিবেদন আদালত প্রদশর্নী হিসেবে গ্রহণ করতে পারে না৷ বরং বিচার চলাকালীন সময়ে এ মামলা সম্পর্কে কেন তারা বক্তব্য দিয়েছে তার জন্য আমরা রম্নল ইসু্য করছি৷
এদিকে,জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারম্নল ইসলামের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাফাই সাক্ষি হিসেবে তার ভাই আনোয়ারম্নল হক রোববার জবানবন্দি পেশ করেছেন৷পরে সাক্ষির জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় সোমবার পর্যনত্ম মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়৷ এটিএম আজহারের বিরম্নদ্ধে গত বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়৷ প্রসিকিউশনের পক্ষে গত ৭ জূলাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়৷ মোট ১৯ জন সাক্ষি প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়৷ আসামিপক্ষ সাক্ষিদের জেরা করে৷
এর আগে আজহারের বিরম্নদ্ধে গত বছর ১২ নভেম্বর ৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়৷ তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত ৯ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (উধর্্বতন নেতৃত্বের দায়) রয়েছে৷
অপরাধের মধ্যে রয়েছেগনহত্যা,হত্যা,লুন্ঠন,ধর্ষন,নির্যাতন,আটক,অপহরণ,শুরুতর জখম ও অগি্নসংযোগ৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ মামলায় ট্রাইবু্যনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেফতার করা হয়৷ এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন৷