দৈনিক বার্তা- নাটোর,১আগষ্ট : নাটোরের লালপুরের ডহর শৈলা গ্রামের ট্রেনের টিকেট কাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছে৷ এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ জন৷ স্টেশনের প্লাটফর্মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে৷ লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি বলেছেন, ঘটনাস্থলটি রেলওয়ে পুলিশের অধীন৷ আমরা তাদের কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি৷ বিস্তারিত পরে জনানো হবে৷
আধাঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশের গুলি ও লাঠিপেটায় ১২ জন আহত হন৷ একজন ঘটনাস্থলে মারা যান, আরেকজন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েনেয়ার পথে মারা যান, আরেকজন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃতু্য হয়৷ বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ নিহতরা হলেন লালপুর উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জীবন(২৮) ও একই গ্রামের মোতালেবের ছেলে রানা হোসেন (২৫) এবং রানার মামা জুম্মত (২৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনিও মারা যান৷
প্রত্যক্ষদশর্ীরা জানান,শুক্রবার সকাল ১০ টার লালপুরের পাশর্্ববর্তী ঈশ্বরদী রেলওয়ে বাইপাসে নতুন স্টেশনে টিকিট কাটার সময় অতিরিক্ত ভিড়ে ঈশ্বরদী বাইপাস এলাকার কিছু যুবক লাইন ভেঙ্গে টিকিট কাটার চেষ্টা করে৷ এ সময় লাইনে থাকা যাত্রীদের সাথে তাদের তর্কাতর্কি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়৷ পরে বাইপাস এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পাশ্ববর্তী এ সংঘর্ষ ডহরশৈলা গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষে রুপ নেয়৷ মুহুর্তে তা ব্যাপক আকার ধারন করে৷ এ ব্যাপারে নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বনিক দুই জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে৷ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে৷ এলাকাবাসীর তথ্য মতে টিকিট কালোবাজারীদের সাথে সংঘর্ষের জেরে এমনটা হয়েছে, পরে ঘটনার কারন উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷