দৈনিক বার্তা: ঢাকা,১আগষ্ট : বিএনপি আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে প্রশাসন চুপ করে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷ আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখন আন্দোলন করে লাভ নেই৷ জনগণ ধ্বংস নয়, শান্তি চায় বলেও এ সময় জানান তিনি৷ তিনি শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন৷ সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ৷
স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেন, এখন আন্দোলন করে লাভ নেই৷ জনগণ ধ্বংস নয়, শান্তি চায়৷ আন্দোলনের নামে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের মতো জ্বালাও- পোড়াও,পেট্রোল ঢেলে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যা যা দরকার- তাই করবে৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোটা আগস্ট মাসকে সমস্ত দেশবাসী শোকের মাস হিসেবে পালন করবে৷ আর এই শোকের মাসে বিএনপি আন্দোলন করার কথা বলেছে৷ তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুক, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই৷ কিন্তু আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা কঠোর ভাবে মোকাবেলা করা হবে৷ একই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা জনদুর্ভোগ সৃষ্টির চেষ্টা করলে ঢাকা ছাড়া করা হবে তাদের৷
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়নি যার জন্য আন্দোলনের ডাক দেয়া যেতে পারে৷বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি৷ আন্দোলনের ডাক না দিয়ে বরং সংগঠন গোছাতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এ নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য তাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে৷ বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কীসের সংলাপ? দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট নেই যার জন্য বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে হবে৷ বিদেশী বন্ধুরা সরকারের সঙ্গে আছে৷ বাংলাদেশ উন্নয়নকর্মে এগিয়ে যাচ্ছে৷এ অবস্থায় সংলাপের প্রয়োজন নেই৷কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালে সংবিধান মেনে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে৷ সেই সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা৷
তিনি বলেন,দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তবু নির্বাচনকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার অফার বিএনপির হাতে ছিল৷ আগামীবার তাও থাকবে না৷ কারণ এবার তারা আর বিরোধী দলে নেই৷এদিকে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলে আসছে৷ বিএনপির ক্ষুব্ধ কর্মীদের মারের ভয়ে তাদেরকে উজ্জীবিত করার জন্যই বিএনপি নেতারা এখন আন্দোলনের কথা বলছে বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী৷এ সময় তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের ঘর সামলান৷ ঢাকা মাহানগর কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মারামারি শুরু হয়েছে৷
খাদ্যমন্ত্রী বিএনপিকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সেসব সন্ত্রাসীরা দেশে ২০১৩ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদেরকে ঢাকাছাড়া করা হবে৷ আন্দোলন করার মতো চরিত্র বিএনপির নেই৷ যাদের জন্ম ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রই করবে, আন্দোলন নয়, যোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী৷ ঈদের পর শান্তিপূর্ণ,গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা৷এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) এখন নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন৷ এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই৷ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনে রেফারির ভূমিকা পালন করবে৷