দৈনিক বার্তা: কলাপাড়া,৩১জুলাই : ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা এখন পর্যটক-দর্শনাথর্ীর পদভারে মুখরিত হয়ে আছে৷ তিনদিনের লম্বা ছুটির সঙ্গে যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক দু’দিনের ছুটি৷ আর এ সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগাতে কয়েক হাজার হাজার পর্যটক ছুটে এসেছেন কুয়াকাটায়৷ ঈদের দিন বিকাল থেকেই পর্যটকরা ছুটে আসেন৷ রমজানের শেষ সপ্তাহেই এরা হোটেলের আগাম বুকিং রেখেছেন৷ বুধবার সকাল থেকে কুয়াকাটায় বিরাজ করছে উত্সব মুখর পরিবেশ৷
দিনভর দর্শনীয় স্পট কুয়াকাটা এবং মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার দর্শন৷ আদিবাসী রাখাই দের পলস্নীতে তাদের ভিন্ন জীবনধারা জানা ও উপভোগ করা৷ গঙ্গামতি সৈকতে লাল কাঁকড়ার ভোঁ-দৌড় দেখা৷ ফাতরার বনভূমিসহ জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখা৷ দুপুরে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মাতামাতিসহ ভোরের স্নাত সূর্যোদয় এবং সন্ধ্যায় সর্যাসত্মের মতো বিরল দৃশ্য অবলোকনে মত্ত হয়ে আছেন আগতরা৷ আগেভাগেই গোটা সৈকত এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা এ বছর জোরদার করা হয়েছে এমন দাবি-কুয়াকাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডলের৷
দীর্ঘদিন পরে কুয়াকাটায় পর্যটক-দর্শনাথর্ীর ভিড়ে এখানকার হোটেল মোটেলসহ সব ধরনের ব্যবসায়ীরা স্বসত্মি ফিরে পেয়েছেন৷ গত বছর পর্যটনের পুরো মৌসুমে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে পর্যটকশুন্য হয়ে ছিল কুয়াকাটা৷ ব্যবসায়ীরা লোকসানের বোঝায় কাহিল হয়ে গেছেন৷ তাই এ বছর ঈদের সময় পর্যটকের আগমনে প্রাণ ফিরে এসেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে৷
কুয়াকাটার আধুনিক আবাসিক হোটেল বীচ হেভেন এর অপারেশন ম্যানেজার শামীম রেজা মঞ্জু জানান, দীর্ঘদিন পরে পর্যটকের আগমনে কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে৷ তিনি কিছুটা আশাহত হয়ে জানালেন, গেল বছর অনত্মত ঈদের সময় টানা সাত/আটদিন পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল, যা এ বছর নেই৷ এজন্য বর্ষা মৌসুমও একটা কারণ বলে তার দাবি৷ এ ছাড়া ফের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অনেকটা হতাশ এ ব্যবসায়ী৷