দৈনিক বার্তা- ঈদের দিনে আনন্দ নৌভ্রমণে বের হয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বৈরাগীর চরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছেন দুজন।
বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদী থেকে বিভা (২২), শিপন (২০),স্বপন (২৩), এমরান (১৪), বিথী (১২) ও কেয়ারের (৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা পাথরঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে কালু শেখ (১৮), শিখা (১৮) ও শাহাজুল (২৮) নামে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, ভেড়ামারার রায়টা এলাকায় পদ্মা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এর আগে বুধবার বিকেলে কুমারখালীর গড়াই নদী থেকে পলি নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আরও ৮ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। তাদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার ফারাকপুর ও গঙ্গারামপুর গ্রামে।
এদিকে খুলনা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, কুষ্টিয়া সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, বিজিবি সদস্য ও স্থানীয়রা বুধবার ভোর থেকে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।
মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশে ১৯ জন যাত্রী ছোট একটি নৌকা নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈরাগীর চর এলাকার পদ্মা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা একটি চরে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাঝ নদীতে নৌকাটি প্রবল স্রোতের মুখে পড়ে উল্টে যায়। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা দুই দফা চেষ্টা চালিয়ে শিশুসহ ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। কিন্তু নৌকায় থাকা শিশুসহ অন্তত ১২ যাত্রী নিখোঁজ হন।