নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরশেনের (নাসিক)দৈনিক বার্তা: নারায়ণগঞ্জ,৩০জুলাই : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরশেনের (নাসিক) পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে৷সিটি করপোরেশনের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি কাশিপুরের যে খালের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল সেই খালটি দখলের কবলে পরে ভরাট হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে৷

অভিযোগ আছে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল ও তার লোকজন খালটি দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে রেখেছে৷ ফলে এ এলাকায় নাসিকের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে৷ আর দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা৷

আর এতে করে শহরের মাসদাইরসহ কয়েকটি এলাকায় ঈদুল ফিতরের দিন ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে৷গত সোমবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওই ড্রেনটি সংস্কার করতে গেলে দখলদার গ্রুপের লোকজন সিটি করপোরেশনের কর্মীদের তাড়িয়ে দেয়৷সেই সঙ্গে খাল সংস্কার না করার হুমকিও দিয়েছে তারা৷এতে করে কোনো ধরণের সংস্কার না করেই ফেরত আসতে হয়েছে নাসিক কর্মীদের৷ এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, মাসদাইর থেকে দরদী কালভার্ট হয়ে কাশিপুর পর্যন্ত একটি ড্রেনের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের পানি নিষ্কাশন চালু ছিল৷তবে সোমবার ওই ড্রেনটি বন্ধ করেদেওয়া হয়৷এতে করে সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশন হচ্ছেনা৷

তিনি জানান, ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে শুরু করেছে৷ দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা না গেলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মাসদাইর, কুড়িপাড়া, গলাচিপাসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হবে৷ তিনি আরো জানান, ৬ বছর আগে পানি নিস্কাশনের ওই ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়েছিল৷ তবে সমপ্রতি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার দুলালের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই পানি নিস্কাশনের ড্রেন সংলগ্নে সরকারি খাস জমি দখল করে ভরাট করে ফেলে৷ এতে করে ড্রেনটি ছোট হয়ে যায়৷ যার ফলে আশেপাশের এলাকা প্রায়ই নর্দমার পানিতে তলিয়ে যায়৷ দখলদাররা আবারো ড্রেনটি বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগের আশঙ্কা দেখা দেয়৷সিটি করপোরশেনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ড্রেনটি সংস্কার করতে গেলে ওই এলাকার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সিটি’র লোকদের মারধরের হুমকি দেয়৷ এতে করে তারা কোনো ধরণের সংস্কার না করেই ফেরত এসেছে৷

নাসিকের সেনেটারি ইন্সপেক্টর আলমগীর হিরণ জানান,স্থানীয় লোকজনদের বাধার মুখে তারা কোনো সংস্কার কাজ করতে পারেননি৷ কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমেন শিকদারের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তার ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে৷ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাশিপুরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না৷সমস্যা সমাধানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করবেন বলে জানান৷