দৈনিক বার্তা-২৮ জুলাই ২০১৪, সোমবার: পাটুরিয়া ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল থেকেই সৃষ্টি হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গাবতলি থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীরা দুপুর ১২টায়ও পদ্মা পাড়ি দিতে পারেন নি। তাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। একে তো রোজা তার ওপর এই জট, বৃষ্টি তাদের দুর্ভোগকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন। সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নারী ও শিশুরা। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নারীদের ভোগান্তি অবর্ণনীয়। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় রাস্তার পাশে যেসব বাড়ি আছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে পানিতে। ঈদে এই রুটে ঘরে ফেরেন পশ্চিম ও পূর্ব অঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ। যেখানে বাড়ি ফিরতে স্বাভাবিক সময়ে লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা, সেখানে আজ লাগছে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা। লোকাল বাসগুলো লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে অনেক দূরে। সেখান থেকে লাগেজ মাথায় নিয়ে, কোলে নিয়ে, সন্তানকে কাঁধে নিয়ে তারা ছুটছেন। আবার কেউ কেউ রিক্সা, ভ্যানে করে ছুটছেন লঞ্চ টার্মিনালে। এ জন্য জনপ্রতি দিতে হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছেও স্বস্তি নেই। সেখানেও আরেক যুদ্ধ। কার আগে কে লঞ্চে চেপে বসবেন সে চেষ্টা নিরন্তর। এ ফাঁকে পকেট মার হচ্ছে অনেক মানুষের। যে লঞ্চের ধারণক্ষমতা ১০০ সেখানে তোলা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ যাত্রী। এতে এই বর্ষা মৌসুমে খর¯্রােতা পদ্মায় রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। ওদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলাচলকারী সবগুলো ফেরি অবিরাম চালিয়েও সামাল দেয়া যাচ্ছে না গাড়ির চাপ। এর কারণ কি? অনুসন্ধানে জানা গেল, বিভিন্ন বেসরকারি গাড়ি রিজার্ভ করা হয়েছে। যেসব পরিবহন নিয়মিত ফেরিতে গাড়ি পারাপার করে তারা এক্ষেত্রে ট্রিপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রয়েছে প্রাইভেট কারের চাপ। এত সব চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ।