Tupi_562_79345-300x199

দৈনিক বার্তা , ঢাকা : পবিত্র লাইলাতুল কদর পেরিয়ে গেছে৷ মাহে রমজানের ২৮তম দিনটি যাচ্ছে রোববার ৷ রোজা প্রায় শেষ, ঈদের কেনাকাটার পর্বও চুকিয়ে ফেলেছেন বেশির ভাগ মানুষ৷ ঈদের ছুটিতে রাজধানী বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যাঁরা বাড়িতে যাবেন, এখন চলছে তাঁদের জিনিসপত্র গোছানোর পালা৷ অনেকে চলেও গেছেন৷ গত বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে বাড়িফেরার পালা৷ ঈদের আগের এই দিনগুলো কাটবে বাড়িফেরার প্রস্তুতি আর শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কিছু কেনাকাটার মধ্য দিয়ে৷ 

ঈদ উপলক্ষে শেষ পর্যায়ের কেনাকাটার মধ্যে প্রধানত থাকে আতর, সুরমা, টুপি এসব৷ গতকাল জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-সংলগ্ন রাজধানীর আতর-টুপির প্রধান বাজারটিতে গিয়ে দেখা গেল, দারুণ জমে উঠেছে বেচাকেনা৷ এখানকার আতর-টুপির ব্যবসায়ীরা জানালেন, বেচাকেনা বরাবরের মতোই৷ তবে গত বছরের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যে অগি্নকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল,সেই ক্ষতির ধাক্কা তাঁরা এখনো সামলে উঠতে পারেননি৷ টুপি ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানালেন, তাঁর দুটি দোকান ছিল৷ মালামাল ছিল প্রায় পাঁচ লাখ টাকার৷ দোকানপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন৷ সেই টাকা আর ধারকর্জ করে একটি দোকান চালু করেছেন৷ টুপির দাম গত বছর যা ছিল, এবারেও তাই৷ গোল হাজি টুপি ৫০ থেকে ২০০ টাকা, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কিস্তি টুপি এবং ওমানি টুপি ১০০ থেকে ৪০০ টাকা৷ পাকিস্তানি সুলতানি টুপি ২০০ টাকা৷ ক্রস কাঁটায় হাতে বোনা সুতার টুপি ৫০ টাকা৷ পাকিস্তানি জিন্নাহ টুপি ২০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত৷ বাচ্চাদের জরির কাজ করা তুর্কি টুপির দাম ৫০ টাকা৷ সর্বনিম্ন ১০ টাকায় পাওয়া যাবে পাতলা নেটের টুপি৷ 

আতর আছে হরেক রকমের৷ সাত হাজার টাকা আউন্সের উদ আতর থেকে ১০০ টাকার জুঁই, বেলি, জান্নাতুল মাওয়া পর্যন্ত৷ আতর বিক্রেতা মিজান মুন্সি জানালেন, দামি আতরের মধ্যে আছে ছয় হাজার টাকা আউন্সের খস, সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার হোয়াইট উড, তিন হাজার টাকার আলবে জোহরা, দুই হাজার টাকার জান্নাতুল নাঈম ইত্যাদি৷দেশের তৈরি আতরের মধ্যে রয়েছে আলিফ, মারজান, বিলকিস, জেসমিন, রজনী, মদিনা এসব৷ এই আতরগুলোর দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত৷ 

বাজারের সবচেয়ে ভালো মানের সুরমা মিসরের৷ এর প্রতি তোলার দাম স ড়ে ৩০০ টাকা৷ পাকিস্তানি সুরমার তোলা ১২০ টাকা এবং ভারতীয় সুরমা ৬০ টাকা তোলা৷