দৈনিক বার্তা , ঢাকা,২৮ জুলাই : রাজধানীর যানজট কমাতে চারপাশের নদ-নদীগুলোকে দূষণমুক্ত ও নাব্যতা ফিরিয়ে নৌ চলাচলের উপযোগী করে রিং- রোডের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুড়িগঙ্গা নদীসহ ঢাকা মহানগরীর চারপাশের প্রবহমান নদীগুলো পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা মহানগরীর চারদিকে বৃত্তাকার নদীপথ ও সড়কপথ চালু করার বিষয়ে এক বৈঠক প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন৷
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন,পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷
এছাড়া মন্ত্রী পরিষদ সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, সেনাবাহিনী প্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন৷তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও পুনরুদ্ধারে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
মন্ত্রিসভার বৈঠকে আবারো কাজ শুরু তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানীতে একটি রিং- রোড তৈরি করা হলে নদীপথে যাতায়াত করা যেতে পারে৷ এর মাধ্যমে মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থাও করা যাতে পারে, সেই ধরনের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে৷ তাই নদীর প্রাণ কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেটাই এখন চিন্তার বিষয়৷
রাজধানীর যানজট কমাতে ও পরিবেশ রক্ষায় নদীপথ উন্মুক্ত ও দূষণমুক্ত করার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রাজধানীতে অনেক খাল ও অনেক পুকুর ছিল, বিভিন্ন কারণে সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে৷ ভবিষ্যতে আর যেনো এ ধরনের কাজ না হয়৷ কারণ দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে গেলে আমাদের বিশেষ করে জলাধারগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন৷
তবে নদীর সীমানা নির্ধারনে আইনি জটিলতায় ওইসব কাজ বন্ধ রয়েছে৷ বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও পুনরুদ্ধারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় দ্রুত সার্কুলার নৌরুট চালু করবে৷ নৌরুটটি যাবে আশুলিয়া, আমিনবাজার, সদরঘাট, ফতুল্লা, কাঁচপুর, টঙ্গী পর্যন্ত৷
সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ইস্টার্ন বাইপাসসহ চারলেনের সার্কুলার সড়ক নির্মাণ করবে৷ এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সমন্বয় করবে, বলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী৷
তিনি জানান,বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ঢাকার পরিবেশের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে৷ এ প্রকল্প আমাদেরই করা, আমাদেরই বাস্তবায়ন করতে হবে৷ সার্কুলার রোড ও নৌরুট হলে পণ্য পরিবহন ও জনপরিবহন সহজতর হবে৷