বিমান কার্যালয় অবরোধ করে রেখেছেন কর্মীরা

দৈনিক বার্তা: ১৪ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল নয়টা থেকে প্রধান কার্যালয় বলাকা’য় প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্মীরা । তারা কাউকে অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না বা কাউকে বেরুতে দিচ্ছে না।কর্মীদের বাধা পেয়ে কর্মকর্তারা নিচতলায় অবস্থান করছেন। আগের দিন বুধবারও তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।কর্মসূচির কারণে সকাল থেকে বলাকা ভবন প্রাঙ্গণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিমানের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বলাকা ভবনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর একত্রিত হয়ে তারা বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বেসরকারি খাতে দেওয়ার প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। শ্লোগানে শ্লোগানে তারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বেসরকারি খাতে দেওয়ার উদ্যোক্তাদের ‘দালাল’ বলেও অভিহিত করেন। আন্দোলনকারীদের কিছু দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও তা পালিত না হওয়ায় মাঝখানে কয়েকদিন বিরতি দিয়ে ফের আন্দোলনে নেমেছে।

সম্প্রতি শর্ত সাপেক্ষে এসব দাবির কয়েকটি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ। তবে বিনিময়ে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার বিরোধীতা করা যাবে না বলে শর্ত দেন। ওই শর্তে রাজি না হওয়ায় বিমান কর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিকুর রহমানের নেতৃত্বে গত ২৫ জুন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এয়ারলাইন্সের কর্মীরা।

একই দাবিতে মঙ্গলবার ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন বিমানের কর্মীরা। এর আগে আন্দোলনকারীরা বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসাদ্দেক আহমেদের কার্যালয় ঘেরাও করেন। কর্মীদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শতভাগ মেডিকেল ভাতা প্রদান, ক্যাজুয়ালদের চাকরি স্থায়ী করা, কার্যআহার ভাতা বৃদ্ধি, পার্সোনাল পে বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করা, বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) কর্মীদেরও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সমান সুবিধা দেওয়া। একই সঙ্গে কর্মীরা সরকারের ঘোষিত সময়েই মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।