দৈনিক বার্তা: রাত থেকে দিন আর দিন থেকে রাত অপেৰা করেও অনেকেই পাচ্ছেন না ট্রেনের টিকিট৷ ট্রেনের টিকিট যেন এখন সোনার হরিণ৷ আর অনেকেই এই টিকিট পেয়ে হাসার চেষ্টা করছেন মলিন মুখে৷প্রতিদিন কমলাপুর রেল স্টেশনে দিন রাত অপেৰা করে কেউ কেউ পাচ্ছেন ট্রেনের টিকিট আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না৷ নাড়ীর টানে বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজনে অনেকেই এখানে সেহেরী এবং ইফতার করে অপেৰা করেন একটি টিকিটের আশায়৷
যাত্রীদের অভিযোগ নারীদের জন্য যদি আলাদা কাউন্টার খোলা হতো, তাহলে আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হত না৷ একটি টিকিট কাটতে প্রায় ১০-১২মিনিট সময় লাগে৷
তারা আরো বলেন, এখানে যাত্রীসেবা এত নিম্নমানের যে তা বলার মত না৷ কাল রাতে আমরা টিকিট কাটতে এসে এখনও টিকিট পাইনি৷ কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে৷ তারা যদি দুর্ভোগ সৃষ্টি করে তাহলে আমাদের আর কি করণীয় থাকে?
কিন্তু এসব কথা অস্বীকার করলেন রেলওয়ে কর্মকর্তা৷
তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা, তারা অনেকৰন লাইনে দাড়িয়ে টিকিট পাচেছ না৷ কিন্তু কিছু কিছু লোক এসেই লাইনে দাড়িয়ে টিকিট নিয়ে চলে যায়৷ এসব টিকিট কোথা থেকে আসে? এই প্রশ্নের জবাবে এক রেলওয়ের পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একদল কালোবাজারি এই টিকিট এখানে বিক্রি করছে কিন্তু আমরা তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য সারাদিন পাহাড়া দিচ্ছি কিন্তু কিছু কিছু কালোবাজারি চক্র আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই টিকিট বিক্রি করছে৷
যারা টিকিট পেয়েছে তাদের মুখে আনন্দের হাসি, আর যারা টিকিট পায়নি তাদের দীর্ঘশ্বাস বলে দিচ্ছে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে না পারাটা কতটা কষ্টের!