দৈনিক বার্তা- ‘সিরিয়াল ও সিস্টেম্যাটিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত’ বলে অভিযোগ করে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
সোমবার সংগঠনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আধা-সামরিক বাহিনীটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার বিষয়টি জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচআরডব্লিউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে। একইসঙ্গে ভেঙে দেওয়ার আগ পর্যন্ত র্যাব থেকে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সরিয়ে এটিকে পুরোপুরি অসামরিক বাহিনীতে পরিণত করার দাবিও জানানো হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করে, চলতি বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাসীন দলের এক সদস্যের পক্ষে র্যাব সাত খুনে দায়ী বলে প্রমাণ রয়েছে। ডেথ স্কোয়াডের মতো র্যাবের এ কাণ্ড গোটা বাংলাদেশে ক্ষোভের আগুন ছড়ায়। এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, র্যাবকে সংস্কার করে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছিল বাংলাদেশ সরকার, কিন্তু সেটা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। জবাবদিহিতা না থাকায় ৠাব উন্মত্ত হয়ে ওঠে। এখন প্রতিষ্ঠানটি সংস্কার অনেক দুরূহ ব্যাপার। সুতরাং এটিকে শিগগিরই ভেঙে দিতে হবে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সরকারের আমলে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সরকারের পর ক্ষমতায় আসে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের বিদায়ের পর ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ সরকার।
এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে, এখনকার ক্ষমতাসীনরা প্রতিষ্ঠানটিকে দায়মুক্তি দেওয়ায় র্যাব ‘গুরুতর ও ‘পদ্ধতিগত’ অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। র্যাবের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গ্রেফতার ও নিষ্ঠুর নির্যাতনসহ গত ১০ বছরে প্রায় ৮০০ লোককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।