ধর্ষণ - rape

দৈনিক বার্তা -রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : মোবাইল ফোনে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলে ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে একটি বাড়িতে ৩ দিন ধরে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষ্যানত্ম হয়নি লম্পটরা৷ ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে ধর্ষকরা৷ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধনারচর এলাকায় শুক্রবারের ঘটনা এটি৷ 

এদিকে ওই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মজনু মিয়া (২০) নামের এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে৷ পুলিশ হেফাজতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীৰাও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে৷ গত মঙ্গলবার (১৫) রাত থেকে বৃহষ্পতিবার রাত পর্যনত্ম ৩দিন আটকে রেখে মেয়েটির ওপর বর্বর অত্যাচার চালানো হয়েছে৷ শুক্রবার মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়৷ 

থানা পুলিশ ও অভিযোগে জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন এর স্কুল পড়ুয়া কন্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম ভালোবাসা গড়ে তোলে একই উপজেলার ধনারচর চরের গ্রামের আব্দুল হামিদ এর পুত্র শাহাদত্‍ হোসেন (২২)৷ মঙ্গলবার মেয়েটি তার প্রেমিক সাহাদতের সঙ্গে দেখা করতে আসে৷ এসময় সাহাদত্‍ হোসেন ও তার দুই বন্ধু মজনু মিয়া (২০) ও এমদাদুল হক (২২) মিলে পরিকল্পনা করে ধর্ষণের৷ পরে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে ধনারচর চরের গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়৷ এরপর ওই বাড়িতে দিনরাত মেয়ের ওপর পাশবিক নিযর্াতন চালায় ওই ৩ লম্পট৷ ৩ দিন নিযর্াতনের পর মেয়েটিকে হত্যা করারও সিদ্ধানত্ম নেওয়া হয় বলে জানা গেছে৷ কিন্তু মজনু নামের ধর্ষক হত্যার বিরোধীতা করে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়৷ এসময় নিযর্াতিত মেয়েটি ধনারচর গ্রামের মহিলা ওয়ার্ড মেম্বার শিরিনা বেগমের বাড়িতে উঠে এবং ঘটনা খুলে বলে৷ 

শুক্রবার মহিলা মেম্বার মেয়েটিকে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করে৷ পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে৷ ধনারচর চরের গ্রামের আব্দুল হামিদ এর পুত্র সাহাদত্‍ হোসেন, আরফান আলীর পুত্র মজনু মিয়া ও আব্দুল মতিনের পুত্র এমদাদ হোসেন এদের পাশবিক নির্যাতন ঘটনার জন্ম দেয়৷ 

নির্যাতিত মেয়েটি পিতা মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ে নানীর বাড়ির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়৷ তার পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তিনি বলেন, ‘ধর্ষকরা মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছে৷ মামলা তুলে না নিলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছাইরা দিবো৷’ যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান মোকবুল হোসেন গণ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন৷ 

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম হোসেন সরদার জানান, গণ ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে ডাক্তারি পরীৰা সম্পন্ন করা হয়েছে৷ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে৷ অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷