দৈনিক বার্তা- গাজা সিটি (ফিলিস্তিন), ১৯ জুলাই ২০১৪ : শনিবার গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ায় এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ৩১৬-এ দাঁড়িয়েছে। এদিকে অস্ত্রবিরতির উদ্যোগ জোরদার করতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি-মুন ওই অঞ্চলের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।
কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এ সংঘাতের ১২তম দিনে ইসরাইল গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে স্থল অভিযান আরো তীব্র করার প্রস্তুতি নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গাজার রকেট নিক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করলেও অনেক নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি হওয়া এ অভিযান এড়াতে ইসরাইলের প্রতি কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। স্থল ও আকাশ পথে ইসরাইলি হামলা সত্ত্বেও গাজার মূল শক্তি হামাস তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। তবে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অস্ত্রবিরতি আলোচনার জন্য মিশর ও তুরস্ক সফর করেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ শনিবার ভোরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি মসজিদের বাইরে এক বিমান হামলায় এক নারীসহ সাতজন নিহত হয়।
জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেফ্রি ফেল্টম্যান নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে বলেন, ‘বান কি-মুন সহিংসতা বন্ধ এবং সংকট উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনী নেতাদের আঞ্চলিক ও ‘আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে’ সমন্বয় করতে সহায়তা করবেন।’ জাতিসংঘে উভয় পক্ষের রাষ্ট্রদূতগণ সহিংসতার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। ইসরাইলের রন প্রসর বলেছেন, অপর কোনো দেশই তার নিজ নাগরিকের ওপর ‘সন্ত্রাসী’ রকেট হামলা ‘বরদাশত’ করবে না। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মুনসুর নিরাপত্তা পরিষদে নারী ও শিশুসহ নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম পড়ে শোনান। এ পর্যায়ে তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়। গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধে অভিযানের দশম দিনে ইসরাইল স্থল হামলা শুরু করলে বহু লোক নিহত হয় এবং হাজার হাজার লোক বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ উদ্বাস্তু হয়ে পড়াদের আশ্রয় দিতে ১৪টি স্কুল খুলে দিয়েছে। সংস্থা শুক্রবার জানায়, এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি তাদের কাছে আশ্রয় চেয়েছে।