দৈনিক বার্তা – ৬৬ হাজার রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের ছবি, নাম, পরিচয় নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)৷ এ কার্যক্রমের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনবিহীন চিকিত্সকদের প্রতারণা থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা পাবেন বলে সংশিস্নষ্টদের ধারণা৷
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. মো. জাহেদুল হক বসুনিয়া বলেন, বিএমডিসির রেজিস্টার্ড চিকিত্সকের সংখ্যা ৬৭ হাজার৷ আমাদের কাজ চলছে৷ চিকিত্সকদের পরিচয়সহ বিসত্মারিত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশের কাজ চলছে৷ চলতি মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবার আশাব্যক্ত করেন তিনি৷ জাহেদুল হক বলেন, ওয়েবসাইটে ক্লিক করে যে কেউ দেশের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যে কোনো চিকিত্সকের নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোন মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছেন ইত্যাদি তথ্য জানতে পারবেন৷’
তিনি বলেন, শুধু নাম শুনেই চিকিত্সকদের কাছে সেবা নিতে যাবেন না৷ সেবা নেয়ার আগে চিকিত্সকদের বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিন৷ এতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে৷’ সংশিস্নষ্টরা মনে করেন, ভুয়া চিকিত্সকদের চিহ্নিত ও তাদের অপকর্ম বন্ধ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বৈধ চিকিত্সকদের সম্পর্কে অবহিত করতে এ উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে৷ জাহেদুল হক বসুনিয়া বলেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন চিকিত্সকদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার বিএমডিসির নেই৷ বিএমডিসির রেজিস্টার্ড চিকিত্সকদের রেগুলেটরি বডি হিসেবে আমরা কাজ করি৷ তবে ভুয়া চিকিত্সকদের বিরম্নদ্ধে শাসত্মির বিধান রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘যদি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোনো চিকিত্সক চিকিত্সা খাতে অনৈতিক কিছু করেন তাহলেই বিএমডিসি তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেবে৷’
জাহেদুল হক বসুনিয়া বলেন, ভুয়া চিকিত্সকদের দৌরাত্ম্য কমাতে বিএমডিসির রেজিস্টার্ড চিকিত্সকদের প্রেসক্রিপশন ও সাইনবোর্ডে রেজিস্ট্রেশন নম্বর উলেস্নখ করার জন্য বেশ কয়েকবার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চিকিত্সকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ অনেকে মানলেও অনেকেই আবার ওই নির্দেশ মানছেন না৷
ডা. বসুনিয়া বলেন, ‘আমাদের কোনো ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই৷ নতুন আইন হলে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী হবো৷’