মূসক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি

দৈনিক বার্তা –সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট পরিশোধকারী ১২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা ও পুরস্কার দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। সারাদেশের করদাতাদের মধ্য থেকে জাতীয় পর্যায়ে ৯টি ও সারাদেশে ১১৩টি প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। জাতীয় পুরস্কারে উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসায়ী এ তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।

[highlight]

উৎপাদন ক্যাটাগরিতে হবিগঞ্জের মেসার্স রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন, মৌলভীবাজার ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসফিল্ড প্রজেক্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন লিমিটেড সেরা পুরস্কার পায়।

সেবা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে নরসিংদীর আর এফএল প্লাস্টিকস্ লি., টিইউভি এসইউডি বাংলাদেশ (প্রা.) লি., ন্যাশনাল টেলিভিশন লিমিটেড।

ব্যবসা ক্যাটাগরিতে পেয়েছে হুওয়াই টেকনোলজিস বিডি লি., মেসার্স এমএম ইস্পাহানি (বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ) ও লালমাটিয়ার ব্র্যাক আড়ং।

[/highlight]

সারাদেশ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও জেলা পর্যায়ে ভ্যাট পুরস্কার পেয়েছে। বৃহস্পতিবার মূসক দিবস-২০১৪ উপলক্ষে মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এনবিআরের মূসক নীতির সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ এনবিআরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার তুলে দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, করদাতাদের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়াতে হবে। করদাতা ও কর আহরণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বাড়লে মানুষ কর দিতে আগ্রহী হবে। করদাতারা যেন কোনো প্রকার বাড়াবাড়ির কিংবা হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এখন ৩০ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। ১৯৭২ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ২৪৮ মিলিয়ন। প্রতিবেশী পাকিস্তানের রপ্তানি আয় এখনো মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে মূসক দিবস উপলক্ষে সেগুনবাগিচাস্থ রাজস্ব বোর্ড ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। এতে মূসক বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। রং-বেরংয়ের পোশাকে বাদক দল ঘোড়ার গাড়িসহ শোভাযাত্রাটি মৎস্য ভবন, কোর্ট, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন, কাকরাইল হয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে এসে শেষ হয়। এবারের মূসক দিবসের সস্নোগান ‘মূসক দেবো জনে জনে, অংশ নেবো উন্নয়নে’। দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান পালন করা হবে।

গতকালের অনুষ্ঠানে ২০১২-১৩ অর্থবছরে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সবচেয়ে বেশি মূসক জমা দিয়েছেন তাদের সম্মাননা দেয়া হয়েছে।