দৈনিক বার্তাঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আংশিক যুক্তিতর্ক হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলাটিতে যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি চলমান থাকাবস্থায় বিচারক আবদুর রশিদ শুনানি মুলতবী করেন। একইসঙ্গে অবশিষ্ট যুক্তিতর্কের জন্য আগামি ২ জুন দিন ধার্য করেন।সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি শাহীন আহমেদ খান রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
শুনানির সময় এরশাদ আদালতে উপস্থিত হননি। তার পক্ষে তার আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম হাজিরা দেন। অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সুলতান মাহমুদ হাজির ছিলেন। এ মামলার আসামি একেএম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।
গত ১৫ মে আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারামতে আত্মপক্ষ সমর্থনে শুনানিতে রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন। এদিন এরশাদ আদালতে হাজির ছিলেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জুর আহমেদকে প্রায় ১৫ টি ধার্য তারেখে আসামিদের পক্ষে জেরা করেন তাদের আইনজীবীরা। সাক্ষ্য গ্রহন চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে।
১৯৯৫ সালের ১২ আগষ্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আদেশে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। কিন্তু, এরও একযুগ পরে ২০১০ সালের ১৯ আগষ্ট বাদীর সাক্ষ্য শুরু হয়। ২০১২ সালের ১ মার্চ বাদীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান সাাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির ওই রাডার না কিনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েষ্টিং কোম্পানীর রাডার বেশী দামে কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেন।