দৈনিক বার্তাঃ দেশব্যাপী গুম, খুন, অপহরণ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জ বিএনপির জনসভায় যোগ দেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের পাশে হাট লক্ষীগঞ্জে জেলা বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। ইতিমধ্যে জনসভার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা বিএনপি।
জনসভায় যোগ দিতে দুপুর দেড়টায় গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে নয়াপল্টন, মৌচাক, নারায়ণগঞ্জ ও মুক্তারপুর ব্রিজ হয়ে মুন্সীগঞ্জে পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া। জনসভা শেষে রাতেই তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জনসভা উপলক্ষে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার সর্বত্র নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। পৃথক পৃথক প্রস্তুতি সভা করেছে ঢাকা মহানগর বিএনপি, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ওলামা দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, মহিলা দল ও ছাত্র দল।
খালেদা জিয়ার জনসভার স্থান নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরে বিএনপি’র কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানোর কাজে ব্যস্ত স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার আইল্যান্ডগুলোতে শোভা পাচ্ছে ধানের শীষসহ শোভা বর্ধনের বিভিন্ন উপকরণ।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর সেখানে জনসভা করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার সেখানে বিএনপিকে জনসভা করতে দেয়নি। তাই খালেদা জিয়া খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে নারায়ণগঞ্জ যান। পরবর্তীতে বিএনপি নারায়ণগঞ্জের পরিবর্তে ঢাকার ডেমরা, যাত্রাবাড়ী এমনকি মাতুয়াইল কনকর্ড মাঠে জনসভা করতে চাইলেও প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে করতে পারেনি। তাই মুন্সীগঞ্জের জনসভা সফল করা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোন বাধা দেয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জনসভাকে কেন্দ্র করে সরকারের কোনো ষড়যন্ত্র থাকলে সেটি যথাসময়ে জানা যাবে। ইতিমধ্য জনসভার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলেও জানান তিনি।