দৈনিক বার্তাঃ সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে দু’জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। এ সময় পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়।
সোমবার দুুপর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পাঁচ বছরের দখলদারিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, অন্যায়ভাবে শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু ও চেয়ারম্যান আসাদুল হক টার্মিনাল দখল করে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছিলেন।
এমনকি দলীয় কোনো লোকদের কোনো চাকরি দেননি। মালিক শ্রমিকের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাঁচ বছরে কোটিপতি বনেছেন তারা। এসব বিষয় নিয়ে কয়েক দফা প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। টার্মিনালের এসব সমস্যা নিয়ে রোববার প্রশাসনের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদে বসে উভয় পক্ষ থেকে ৬ জন ও জেলা প্রশাসকের একজন নিয়ে একটি অর্ন্তবর্তী কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিন্তু সাইফুল করিম সাবু তা না মেনে সোমবার বেলা ১২টর দিকে টার্মিনালে গিয়ে জাহাঙ্গীর (৩৫) ও বাপ্পী (৩৪) কে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ নাসির উদ্দীন ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, আব্দুর রহমান শাহাজি ও নজরুল ইসলাম নামের চার শ্রমিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। টার্মিনাল এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষের শ্রমিকরা সংগঠিত হলে টার্মিনাল ছেড়ে চলে আসেন সাইফুল করিম সাবু। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শ্রমিক নেতা মশিয়ার ও রবিউল ইসলামের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, আমরা টার্মিনালে বসে ছিলাম। হঠাৎ শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কোনো কিছু না বুঝে তার চারজন ধরে নিয়ে আসে। এরপর শ্রমিকরা সংঘটিত হলে আমরা টার্মিনাল ছেড়ে চলে আসি।