দৈনিক বার্তাঃ খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন,আমাদের আন্দোলনের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই।জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারলে আমরা খালেদাকে সাধুবাদ জানাব।
ভারতের সরকার পরিবর্তনের ফলে বিএনপি নেতাদের মধ্যে অনেক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। কিন্তু কোনো লাভ নেই, কোনো বিদেশি বন্ধুই বিএনপির কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বক্তব্যের শুরুতেই ভারতের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এখনও তারা আমাদের জনগণের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, ভারতের সরকার পরিবর্তনের ফলে বিএনপি নেতাদের মধ্যে অনেক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। কিন্তু কোনো লাভ নেই,আপনারা নৈরাজ্য করে ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছেন। বিদেশি কোনো বন্ধুই আপনাদের কাজে আসবে না।
বিএনপির কড়া সমালোচনা খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আইন-আদালতকে মানতে চায় না। বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং নিরাপত্তা স্বার্থে খালেদা জিয়ার বিচারিক কার্যক্রম বিশেষ এজলাসে নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারা এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কামরুল বলেন, নিয়মতান্ত্রিক কথা বলুন। নিয়ম মেনে চলুন। তাহলে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাদের সহায়তা করবে।
বিএনপির মাথায় পচন ধরেছে মন্তব্য কামরুল বলেন, তাদের মাথায় এমন পচন ধরেছে যার দুর্গন্ধের কারণে মানুষ তাদের কাছে যেতে পারছে না। জনগণকে সঙ্গে না পেয়ে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির পায়তারা করছে।
তাই বিশৃঙ্খলাকারী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সরকারের সঙ্গে দেশের জনগণ রয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, তারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ নেই।
তিনি বলেন, ভারতে সরকার পরিবর্তন হয়েছে দেখে বিএনপির আশার আলো দেখার কারণ নেই। এ বিশৃঙ্খল দলের পাশে ভারত সরকার তো নয়ই কোনো বিদেশি বন্ধুই দাঁড়াবে না।
শেখ হাসিনা জাপান সফরে গিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভারতের নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জনগণের পাশে ভারত থাকবে।
খালেদা জিয়ার বিচার বিশেষ আদালতে সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ আদালতে বঙ্গবন্ধু ও পিলখানা ট্র্যাজেডি হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। তাহলে খালেদা জিয়ার বিচার হতে সমস্যা কোথায়?
সংগঠনের সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, সংগঠনের সহ-সভাপতি খন্দকার ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।