5দৈনিক বার্তাঃ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু  দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, নারায়নগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মূল  হোতা নূর হোসেন কে? সে কোন দলে প্রোডাক্ট? সে হচ্ছে বিএনপির  প্রোডাক্ট। নূর হোসেন আওয়ামী লীগে এসে বিএনপির গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে। সে সুযোগ সুবিধা কাদের দিয়েছে তা খতিয়ে  দেখা উচিৎ।

তিস্তার হিস্যা নিয়ে বা  দেশের সমস্যা নিয়ে ১৬  সেকেন্ডের জন্য চিন্তা করেও  কোন কাজ করেনি।তিনি বলেন, এখন তারা  দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় তারা নতুন যড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।

রোববার মতিঝিল কৃষি ব্যাংক ভবনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষি ব্যাংক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম.এ. মান্নান।তিনি বলেন, বিএনপির  নেতৃত্বে  দেশব্যাপী চোরাগোপ্তা হামলার ঘোষণার পর থেকেই  দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। অতএব নারায়নগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপিকে নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকারী  সে যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপাওে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরের মত দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

বিএনপির সমালোচনা করে আমু বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালীন  দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি আদায়ের ব্যাপারে নীরব থাকে। আর ক্ষমতায় না থাকলে এসব বিষয়ে নিয়ে সরব থাকে।তিনি বলেন, বিএনপির  নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ১৬ বছর দেশ শাসন করেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ কৃষিখাতে আওয়ামী লীগ সরকার অর্জিত সকল সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৯৮ সালে সংঘটিত ভয়াবহ বন্যার পর দেশব্যাপী কৃষি ব্যাংক পরিচালিত ঋণ কর্মসূচির ফলে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি তেজিকরণে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত নতুন জনবল কাঠামোসহ অন্যান্য দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, কাউকে কোনো ধরণের ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সকল পেশাজীবীকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালনের আহবান জানান।কৃষি ব্যাংক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আলাউদদীন এ. মজীদ, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো আবদুস সালাম, পরিচালক আলহাজ্ব মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শুক্কুর মাহামুদ, কার্যকরি সভাপতি মো. ফজলুল হক মন্টু, সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক এস.এম. হারিস আলম বক্তৃতা করেন।