দৈনিক বার্তাঃ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ মে ৭২ ঘণ্টা লাগাতার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকসা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ।শনিবার প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকসা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আলহাজ বরকত উল্লাহ ভুলু বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ মে ৭২ ঘণ্টা লাগাতার স্থগিত ধর্মঘট পালন করা হবে।তিনি ৩ দফা দাবির কথা উল্লেখ করে জানান, বুয়েটের শর্ত ও মন্ত্রণালয় দ্বারা গঠিত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকসার ইকোনমিক লাইফ ১১ বছর হতে ১৫ বছর নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।তিনি আরো বলেন, বুয়েটের শর্ত ছাড়া অন্য কারোর শর্ত মানা হবে না।এ সময় তিনি বিআরটিসি ’র খসড়া মোতাবেক প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি জানান।
মাবনবন্ধনে আরো উপেস্থিত ছিলেন, সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম খসরু, ঢাকা সিটি অটোরিকসা মালিক সমিতির সভাপতি মোতালেব হোসেন, ঢাকা মাহনগর সিএনজি অটোরিকসা ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এটিএম নাজমুল হাসান প্রমুখ। এদিকে, সিএনজি বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ জুন থেকে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
শনিবার সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ ধর্মঘটের ডাক দেন।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বলেন, আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে ৭ দফা। এ দাবিতে আমরা গত বছর ৪ জুলাই ধর্মঘট শুরু করেছিলাম। সে সময় ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ২টি দাবি বাতিল করে ৫ দফা সুপারিশ করে।
তিনি বলেন, এখন আমরা সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। ৭ জুনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ৮ জুন থেকে ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না আমাদের।
তিনি বলেন, কয়েক দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়েছে অনেক। এছাড়া গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফায়। এতে করে জামানত বেড়ে দাড়িয়েছে ১ কোটি টাকায়। কিন্তু কমিশন বাড়ানো হয় নি। যে কারণে ক্ষতির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোবাংলার অযোগ্য চেয়ারম্যানের নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সবকিছু জানার পরও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কমিশন ১২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২.৯৮ টাকা করার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় বহন করতে হবে বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মতিন খান, ঢাকা দক্ষিন শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।