দৈনিক বার্তাঃ ক্রিকেটীয় জাতী হিসেবে পাকিস্তানের পরিচিতি থাকলেও আসন্ন বিশ্বকাপের বল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৫৯তম অবস্তানে থাকা দেশটির থেকেই সাম্বাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রমতে জানা গেছে।
রিও ডে জেনিরোর প্রত্যাশানুযায়ী তাদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বকাপের চাইনিজ সাপ্লায়ার এডিডাস। আর সেই সুযোগে পাকিস্তানের শিয়ালকোট বল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বল তৈরীতে এগিয়ে আসে এবং বিশ্বকাপে কাজ করার অনুমোদন পায়।
এই প্রতিষ্ঠানটি জার্মান বুন্দেসলিগা, ফ্রেঞ্চ লীগ এবং চ্যাম্পিয়নস লীগের জন্য বল সরবরাহ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মালিক খাজা আখতার প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ইতিহাসে অংশ হতে পেরে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন দারুন উচছসিত। এ সম্পর্কে আখতার বলেছেন, ২০০৬ বিশ্বকাপের সময় আমি এর আবহ বুঝতে পেরেছিলাম। তখন থেকেই এখানে কাজ করার স্বপ্ন ছিল। ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে বল সরবরাহ করার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। মানুষ এখন আমার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করছে। তখনই আমি সত্যিকার অর্থেই বুঝতে পেরেছি কাজটা কতটা বিশাল। এর আগে আমি দর্শক হিসেবে বিশ্বকাপে খেলা দেখেছি। কিন্তু এখন এর অংশ হতে পেরে এর অনুভূতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর শিয়ালকোট বিশ্বের বল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম সেরা একটি প্রতিষ্ঠান। বছরে এখান থেকে ৩০ মিলিয়ন বল সারা বিশ্বে সরবরাহ করা হয় যা পুরো বিশ্বের সরবরাহের ৪০ শতাংশ। কিন্তু এই মার্কেট সম্প্রতী ভারত ও চায়না ধরে ফেলেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল হিসেবে স্বাগতিক ব্রাজিল নতুন একটি বল উন্মোচন করে যার নাম দেয়া হয়েছে ব্রাজুকা। ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ব্রাজুকাকে প্রকাশ করা হয়। নতুন ডিজাইনের এই বলটিতে নতুন প্যানেল সিস্টেম রয়েছে। সিনথেটিক সার্ফেসে টিকে থাকার জন্য এর উপর ছয়টি আলাদা ইন্টারলকিং প্যানেল রয়েছে।