দৈনিক বার্তাঃ ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে মনে করেন আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলকে কলঙ্কিত করার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। জুনে টুর্নামেন্টটি শুরু হবে।
টুর্নামেন্টের জন্য স্টেডিয়াম ও অবকাঠামো নির্মাণে ব্যপক বিলম্ব ঘটেছে। সেই সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে সহিংসতা। তিনবারের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী দলের সদস্য পেলেকে উদ্বৃত করে ডেইলি স্টার বলেছে টুর্নামেন্ট উপলক্ষে এ ধরনের কর্মকান্ডের সমালোচনা করেছেন এবং এরকম এক মুহুর্তে বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতি গ্রনযোগ্য নয়।
তবে তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, এমন পরিসি।থতিতে দলটির কিছুই করার নেই। সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই তাদের স্টেডিয়াম ও অবকাঠামো নির্মাণে বিলম্ব ঘটেছে। এ সময় তিনি বলেন, ‘একটি দুষ্ট চক্র সবগুরো টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।’ যে কারণে ব্রাজিল জুড়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন দুর্নীতির বিপক্ষে বিক্ষোভকে অবশ্যই মেনে নেয়া যায়। তবে সে জন্য পেশী শক্তির ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
এবার ধর্মঘট ডেকেছে ব্রাজিলীয পুলিশ। আসন্ন বিশ্বকাপ উপলক্ষে ব্রাজিলের ২৪টি প্রদেশে আজ থেকে ২৪ ঘন্টার ধর্মঘট ডেকেছে পুলিশের ইউনিয়ন। যার মধ্যে ছয়টি প্রদেশে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ।
বিশ্বকাপ শুরু হবার মাত্র ২২দিন আগে এই ধর্মঘটের কারণে আধা-সরকারী পুলিশ বাহিনীর ৭০ শতাংশ কাজ থেকে বিরত থাকবে। যারা অপরাধ বিষয়ক তদন্তকাজে নিয়োজিত। ধর্মঘটের কারণে অন্যান্য রাজ্যের মত সমস্যার মধ্যে পড়বে রিও ডি জেনিরো, সাও পাওলো, মিনাস গেরাইস, বাহিয়া পেরনামবাকো ও অ্যামাজোনাস প্রদেশও। যেখানে আসন্ন বিশ্বকাপের অনেকগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী ব্রাসিলিয়া বেস্টিত ফেডারেল জেলা ছাড়াও ব্রাজিলে সর্বমোট ২৬টি রাজ্য রয়েছে। সেখানে ফেডারেল পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রন ও সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান করা। বুধবার তারাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। তবে তারা ধর্মঘটে যাবেনা বলে জানিয়েছে তাদের ইউনিয়ন। বিশ্বকাপে ভাল বেতন এবং কাজের পরিবেশ সৃষ্টি ও অক্টোবরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবিতে ব্রাজিল জুড়ে বেশ কয়েক দফা বিক্ষোভ কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
গত সপ্তাহে জনগনের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মিলিটারি পুলিশওউত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পেরনামবাকোতে অংশিক ধর্মঘট পালন করেছে।রাজ্যটির প্রাদেশিক রাজধানী বিশ্বকাপের ভেন্যু রেসিফেতেও এর ঢেউ লাগে এবং এ সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেন, টুর্ণামেন্ট চলাকালে কোন ধর্মঘট চলাকালে যে কোন আকষ্মিক ঘটনা মোকাবেলার জন্য তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটির বিচার মন্ত্রী হোসে এডুয়ার্ডো কার্ডোজো গত মাসে পুলিশের ধর্মঘট পালন সম্পর্কে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছেন যে ,পুলিশের ধর্মঘট পালন বেআইনি ও সংবিধান বিরোধী’। আইনের ওই বিধানের কারণে আমি মনে করিনা দেশের কাছে দায়বদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দেশের সম্মানকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে দেশকে অগ্রহযোগ্য পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে। বিশ্বকাপের সময় কোন ধর্মঘট পালিত হবে বলেও আমি মনে করিনা।