দৈনিক বার্তাঃ থাইল্যান্ডে সামরিক আইন জারির পর রাজনৈতিক দলসহ সংশি¬ষ্ট সকলের সঙ্গে সংকটকালীন আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে সামরিক বাহিনী৷তবে পাশাপাশি দেশটির ইউক্রেন বা মিসর হওয়ার আশঙ্কা রদ করার অঙ্গীকার করেছে সেনাবাহিনী।সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, মঙ্গলবার ইংলাক সিনাওয়াত্রার পিউ থাই পার্টি ও তার বিরোধীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জেনারেল প্রায়ুত চান-ও-চা৷
বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন,সিনেট এবং সরকারপন্থী ও সরকার বিরোধী উভয় বিক্ষোভ শিবিরের প্রধানদের এ আলোচনায় অংশ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷থাই সামরিক বাহিনীর প্রধান প্রায়ুত চান-ও-চা-এর আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই পদত্যাগ করার কথা৷ তবে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করার আগে সমস্যার দ্রুত সমাধান হতেই হবে, সমাধান না হলে আমি পদত্যাগ করবো না৷ থাইল্যান্ডকে আমি কখনো ইউক্রেন বা মিসরের মতো হতে দেবো না।
এদিকে সামরিক আইন জারি হওয়ার পরই থাইল্যান্ডে গণতন্ত্র সুসংহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ৷এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও সেনাপ্রধান প্রায়ুত চান-ও-চা’র প্রতি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান৷
সাত মাসের বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ডে চলেছে ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারবিরোধী আন্দোলন৷ এর ফলে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থা কাটার আগেই সাংবিধানিক আদালত ইংলাককে ক্ষমতার অপব্যহারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করে৷ তারপর থেকে দীর্ঘদিন সামরিক শাসনাধীন থাকা দেশটিতে আসে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷ কিন্তু ইংলাক সমর্থকরা আদালতের রায়ের প্রতিবাদে রাজপথে অবস্থান নিলে আবার সামরিক আইন জারি করা হয়৷
মঙ্গলবারই রাজধানী ব্যাংককসহ দেশের বড় শহরগুলোর রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয় সেনা সদস্যদের টহল৷ বেশ কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়৷ এ পর্যন্ত ১৪টি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে৷ সম্প্রচার বা প্রকাশনা বন্ধ হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও নেমে এসেছে কড়া বিধিনিষেধ৷
গণমাধ্যমকে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত বর্তমান সরকারের সংশি¬ষ্ট ব্যক্তিদের ছাড়া আর কারো সাক্ষাৎকার নেয়া যাবে না৷ সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে সহায়ক হতে পারে এমন যে কোনো ধরণের বক্তব্য প্রচারে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।