দৈনিক বার্তা : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বিজিবি’র হয়রানী বন্ধসহ তিন দফা দাবীতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের ডাকা ২য় দিনের হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত। হরতালে দোকানপাটসহ সকল যানবাহন বন্ধ ছিল। এদিকে ৭ম দিনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার ৭ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নিবার্হী অফিসার এর নেতৃত্বে কাণ্টমস চত্তরে সমঝোতা বৈঠক বসে কিন্ত বিজিবি উপস্থিত না থাকায় ওই বৈঠকটিও ভেস্তে যায়।
লাগাতার হরতালের কারনে দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হিলি বন্দরের। ভারত থেকে আগত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। তারা দেশে প্রবেশের পর আর নিজ গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পারছেন না। বন্দর থেকে কোন পন্য লোড আনলোড করতে না পারায় হু হু করে বাড়ছে আমদানীকৃত ভারতীয় কাঁচামালসহ বিভিন্ন পন্যের দাম। ৭ দিন বন্ধ থাকায় বন্দরের প্রায় ২ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
হরতাল চলাকালে গতকাল দুপুরে চারমাথায় হিলি কাষ্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাসেম আজাদের সভাপতিত্ব পথ সভায় বক্তব্য রাখেন আমদানীকারক আবু তোরাফ, রবিউল ইসলাম সুইট, জামিল হোসেন চলন্ত, আজিজ সরদার, হানিফ লস্কর, ফেরদৌস রহমান, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
পথ সভায় বক্তারা বলেন- এপার ওপার সীমান্তে খালাসের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পন্য বোঝাই ট্রাক। আটকা পড়া কাঁচাপণ্য পঁচতে শুরু করেছে। বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদেক প্রতিদিন ডিটেনশন চার্জ গচ্ছা দিতে হচ্ছে। তাতে লোকসান দাঁড়াবে প্রায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা। পথ সভায় আবুল কাসেম আজাদ আবারও বুধবার হরতালের ডাক দেন এবং হরতাল শান্তিপুরণ ভাবে পালন করার জন্য সকলকে আহবান জানান। তিনি বিজিবির কাছে কোন পণ্য বিক্রি না করার জন্য হিলিবাসীকে অনুরোধ করেন।