1দৈনিক বার্তা : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বলায় প্রথম আলো বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত  ফেসবুক  পেজে জয়  লেখেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় বাংলা পত্রিকা প্রথম আলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর মাধ্যমে তারা একাত্তরের ত্রিশ লাখ শহীদকে অপমান করলো। আমি মনে করি, এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিৎ।

ভারতের নির্বাচনে বিজেপির বিপুল বিজয়ের পর দলটির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদির জীবনীতে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ওই তথ্য প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটলোতে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে নিজের ফেইসবুক পেইজে এক  পোস্টে এ আহ্বান জানিয়েছেন জয়।

বহুল পঠিত সংবাদপত্রটির এ ভূমিকার সমালোচনা করে জয় তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমাদের সবচেয়ে বড় বাংলা পত্রিকা প্রথম আলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর মাধ্যমে তারা একাত্তরের ত্রিশ লাখ শহীদকে অপমান করলো। আমি মনে করি, এটিএকটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিৎ।

তরুণ তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জয় বলেন, যাই হোক, এটা আমাকে খুব অবাক করেনি। আপনি যদি ২০০৭-২০০৮ সালের কথা মনে করেন,তাহলে  দেখবেন প্রথম আলো তখন খোলামেলাভাবে সামরিক  স্বৈরশাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। প্রথম আলো আবারও প্রমান করলো যে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এবার তারা নতুন করে প্রমান করলো, তারা বাংলাদেশেও বিশ্বাস করে না। চলুন প্রথম আলো বর্জন করি এবং তাদের কাছে এই বার্তা  পৌঁছে  দেই, যারাই বাংলাদেশ সমর্থন করে না আমরা তাদের রুখে দিবো ।

গত শনিবার চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী  শিরোনামে প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক খবরের পাতায় সারাবিশ্বে অংশে ভারতের হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুলেট পয়েন্ট জীবনী ছাপা হয়।এর একটি অংশে বলা হয়,  মোদি আরএসএসের  প্রচারক  হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে  যোগ  দেন ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর।এরপরই সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন সাইটে ব্যাপক তোপের মুখে পড়ে প্রথম আলো।

প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একইসঙ্গে দাবি করেছেন,ওয়ান ইলেভেনের সময় পত্রিকাটি  খোলামেলাভাবে স্বৈরশাসকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো।

প্রধানমন্ত্রীপুত্র তার  লেখায় বলেন, এটা আমাকে খুব অবাক করেনি। আপনি যদি ২০০৭-২০০৮ সালের কথা মনে করেন, তাহলে  দেখবেন প্রথম আলো তখন খোলামেলাভাবে সামরিক  স্বৈরশাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো। প্রথম আলো আবারও প্রমাণ করলো যে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

জয় আরও বলেন, এবার তারা নতুন করে প্রমাণ করলো, তারা বাংলাদেশেও বিশ্বাস করে না। চলুন প্রথম আলো বর্জন করি এবং তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিই, যারাই বাংলাদেশ সমর্থন করে না আমরা তাদের রুখে দেবো।