দৈনিক বার্তা : সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সমাবেশে মাইক ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। মাইক কেড়ে নিয়ে প্রিজনভ্যান, রায়টকার এবং জলকামান নিয়ে অবস্থান করে পুলিশ। পরে মাইক ছাড়া সংক্ষিপ্ত সভা করেন পেশাজীবীরা।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গুম,হত্যা প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন,মানববন্ধনের মাইক নিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে পারবেন না। যতদিন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিচার না হবে, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি না দেয়া না হবে, বন্ধ গণমাধ্যম খুলে না দেয়া হবে, র্যাব বিলুপ্ত না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
রুহুল আমীন গাজী বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে। তাদের জামাই আদর করা হচ্ছে। এ বিচার স্বচ্ছভাবে হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এ সময় পুলিশের উদ্দেশ্য করে বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, আপনাদের ৩০ ভাগ ভাতা বাড়ানোর কথা, কিন্তু এই ভাতা বাড়িয়েছে অন্য বাহিনীর। তবে কেন আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে আমরা বাধ্য হবো জাতিসংঘের কাছে চিঠি দিতে, যাতে করে আপনাদের জাতিসংঘের মিশনে না নেয়া হয়। পুলিশি পাহারার মধ্য দিয়ে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নামে একটি সংগঠন।
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, একটি অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী আর একটি বৈধ সরকার প্রধানকে কিভাবে অভিনন্দন জানান? লজ্জার একটা সীমা থাকা দরকার।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গুম-খুন হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদ,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, ড্যাব নেতা ডা. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।
এর আগে সকাল থেকে পুলিশ অবস্থান নেয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে। শতাধিক পুলিশ সদস্যর সঙ্গে একটি প্রিজনভ্যান,এপিসিকার ও জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া পেশাজীবীদের সমাবেশের শুরুর দিকে হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করতে দেয়নি পুলিশ। পরে অবশ্য হ্যান্ডমাইক দিয়েই সমাবেশ শেষ হয়েছে।