দৈনিক বার্তা : পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভীন আসামি সুমির উপস্থিততে এ অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ১৬ জুন রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রাখা হয়েছে।একই দিন আদালত সুমির জামিন মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২৬ মে জামিনের মুচলেকা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু-আদালত তাকে জামিন দেন। আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় বাবা অথবা মায়ের জিম্মায় সুমির জামিন মঞ্জুর করেন।
আগামী ২৬ মের মধ্যে সুমির বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে জামিননামা দাখিল করার নির্দেশ দেন আদালত।
চার্জ গঠন শুনানির উদ্দেশ্যে সুমিকে গাজীপুরের টঙ্গিতে অবস্থিত কিশোর সংশোধনকেন্দ্র থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক সুমির কাছে জানতে চান সে দোষী না নির্দোষ। জবাবে সুমি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে।
এরপর পুলিশ দম্পতি হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ঞড়ঢ় ড়ভ ঋড়ৎস
এর আগে গত ৬ মে পুলিশ দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান এবং ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান রনি ও মিজানুর রহমান জনিসহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক। ওইদিন মামলার অন্যতম আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দায়রা আদালত অভিযোগ গঠন না করে মামলাটি কিশোর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
গত ৯ মার্চ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম বিকাশ কুমার সাহার আদালতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতব্বর ঐশী ও গৃহকর্মী সুমিসহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে ঐশীকে খুনের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐশীর বন্ধু রনি ও জনীর বিরুদ্ধে হত্যায় উস্কানীদাতা ও প্ররোচনকারী হিসেবে অভিযোগ আনা হয়েছে। পৃথক আর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে গৃহকর্মী সুমীর বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে সহযোগীতা করার অভিযোগ এনে কিশোর আদালতে বিচারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।
মামলায় মোট ৪৪ জনকে সাক্ষী মানা হয়েছে। বর্তমানে ঐশী কাশিমপুর কারগারে ও গৃহকর্মী সুমী জামিনে আছে। গত বছরের ১৪ অগাস্ট পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান চামেলীবাগের নিজ বাসায় খুন হন।
১৬ অগাস্ট তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।১৭ অগাস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান বাদি হয়ে পল্টন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন॥ নিহত দম্পতির একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান ১৭ অগাস্ট রমনা থানায় আত্মসমর্পন করেন এবং ২৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দিয়ে মা বাবাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন।