1দৈনিক বার্তা : দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে চলমান অস্থিরতার কারণে থাইল্যান্ডে সামরিক শাসন জারি করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার  ভোরে সেনাবাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে  সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চ্যান-ওচা বলেন, শান্তি ও আইনের শাসন ধরে রাখতে মার্শাল ল’ জারি করা হলো। তবে এটা কোন ধরনের অভ্যুত্থান নয়। এছাড়া, মার্শাল ল’ জারির পাশাপাশি যে কোন সিদ্ধান্তগ্রহণ ও ক্ষমতা ব্যবহারে সেনাবাহিনী নিজেদের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব অনুমোদন করেছে বলেও জানান তিনি। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থক লাল শার্টধারী বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে,  দেশে গণতান্ত্রিক ধারা না ফেরা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সম্প্রতি ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আদালতের নির্দেশে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ইংলাক তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচাতে এবং তার পরামর্শে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন অভিযোগ করে গত অক্টোবর থেকে  দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচনের  ঘোষণা দেন ইংলাক। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা  পোষণ করে প্রধান বিরোধী দল অভিজিৎ  ভেজাজিভার নেতৃত্বাধীন  ডেমোক্রেট পার্টিও নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণে গত ১৪ই  মে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্ব্তী সরকারের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা স্থগিত করা হয়। স্পষ্টতই তাই থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক সঙ্কট গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।