দৈনিক বার্তা–নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির গণশুনানি চলছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউসে গণশুনানি শুরু হয়। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এ ঘটনায় যে কেউ শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে পারবে। এর আগে শনিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেন নিহতদের পরিবারের সসদ্যরা। এছাড়া আগামী ১৫ মে বৃহস্পতিবার একই সময়ে এ বিষয়ে আবার গণশুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সাত খুনের মামলা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লার নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির সদস্যরা ৮ মে বিকেলে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন। পরে তারা অপহরণের স্থান ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকা ও বন্দর উপজেলার শান্তিনগর (লাশ উদ্ধারের স্থান) পরিদর্শন করেন।
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। এর ৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা থেকে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ১ মে আরো এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন বলে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান দাবি করার পর র্যাব কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ৫ মে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় করা মামলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পাশাপাশি সিআইডিকে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) তদন্তেরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।